মাজারের খাদেম হত্যা : মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি জেএমবি'র চান্দু গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সদস্য আব্দুর রহমান ওরফে চান্দু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। মঙ্গলবার এ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান এতথ্য কথা জানান।
তিনি রংপুরের কাউনিয়া মাজারের খাদেম রহমত হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি। এটিইউ’র একটি দল দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে ঢাকা জেলার সাভার থানার গেন্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি ২০১৫ সালের রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার চাঞ্চল্যকর খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি এবং জেএমবি’র ইসাবা গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।
এটিইউ সূত্র জানায়, চান্দু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। এই হত্যা মামলার সবাই বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হলেও তিনি কৌশলে নানা স্থানে অবস্থান করেছেন।
চান্দু মিয়া পুলিশকে জানিয়েছে, খাদেম রহমত আলী সুরেশ্বরের পীরের অনুসারী ছিলেন। তার বাড়ির পাশে একটি মসজিদ রয়েছে। মসজিদের পাশে ঘর তুলে প্রতি বৃহস্পতিবার খাদেম তার অনুসারীদের নিয়ে গান বাজনা ও জিকির করতেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জেএমবির সদস্যরা তাকে হত্যা করে।
২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি, পল্লী চিকিৎসক ও সুরেশ্বরের পীরের মাজারের খাদেম রহমত আলী খুন হন। স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে চৈতার মোড়ে জেএমবির সদস্যরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় রহমতের ছেলে এডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ১৩ জঙ্গি সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০১৮ সালের ১৮ মার্চ খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় সাত জেএমবি সদস্যকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার। রায়ে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানারও করা হয়। এছাড়া চার জনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেএমবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মন্ত্রী, এছাহাক আলী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক, বিজয় ওরফে আলী ওরফে দর্জি, সাখাওয়াত হোসেন, সরওয়ার হোসেন ওরফে সাবু ও চান্দু মিয়া। তাদের মধ্যে ছয় জন রংপুর কারাগারে আছেন।
সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া চান্দু মিয়ার বাড়ি রংপুরের পীরগাছায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জেএমবি’র কয়েকজন সদস্যর নাম জানা গেছে, যারা বর্তমানে গোপনে কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস