উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ শুক্রবার তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-মো. সজিব আহম্মেদ, মোছা. মর্জিনা আক্তার রনি ও মো. শরিফ হোসাইন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৭ টি ব্যাংকের চেক জব্দ করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, শুক্রবার সজিব আহম্মেদকে আদাবর থানার নবোদয় হাউজিং থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্য মতে মোছা. মর্জিনা আক্তার রনিকে পল্লবীর কালশী থেকে এবং শরিফকে তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের সময় মর্জিনার বাসা থেকে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত টাকা এবং শরিফের কাছ থেকে ৪৭টি চেক উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সজিব, শরিফ ও মর্জিনাদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৭০টি অ্যাকাউন্ট, ব্যাংকের চেক ও এটিএম কার্ড রয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা প্রথমে কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে। পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে কেউ ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা, কেউ কাস্টমস অফিসার, কেউ উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে কাউকে ব্যাংকে চাকরি, কাউকে বড় ধরনের উপহার এবং নারী সদস্য প্রেমের অভিনয় করে বিভিন্ন লোভনীয় অফারের মাধ্যমে প্রলুব্ধ করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ঐসব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, চেক ও এটিএম কার্ডের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে থাকে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মর্জিনা, সজিব ও শরিফ প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থের একটি অংশ পেয়ে থাকে। এ প্রতারক চক্রটি বরিশালের এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৫৯ লাখ টাকা, ঝিনাইদহের যুব উন্নয়নের এক কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৮ লাখ টাকা এবং সাতক্ষীরার মসজিদের ইমামের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও থানায় দুইটি মামলা গোয়েন্দা গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমে তদন্তাধীন আছে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস