দীপন হত্যা মামলার রায় ১০ ফেব্রুয়ারি
প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলার রায় ১০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষে গোলাম ছারোয়ার খান জাকির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে ৮ আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন। দীপন হত্যা মামলার আসামিরা হলেন, বরখাস্তকৃত মেজর জিয়া, আকরাম হোসেন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম হোসেন পলাতক আছে।
ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের দিনেই তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার ফজলুর রহমান চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছর ১৩ অক্টোবর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম লিটন বলেন, আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল। তবে আসামিরা যে নির্দোষ তা আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছেন। এ বিষয়ে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন এই আইনজীবী।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আসামিদের কেউ কেউ দূর থেকেও নানাভাবে জড়িত ছিল। এ ছাড়া আসামিরা হত্যায় জড়িত ছিল তা প্রমাণ করতে পেরেছেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। ৫ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই দিন লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।