দুদককে নখ-দন্তহীন বাঘ হলে চলবে না: হাইকোর্ট
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নখ-দন্তহীন বাঘ হলে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের শুনানিতে এই মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটির শুনানি হয়। পরে রিটের ওপর শুনানি আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
এ সময় আদালত বলেন, দুদককে কনসার্ন থাকতে হবে সুইস ব্যাংকের জব্দ করা টাকা ফেরত ইস্যুর বিষয়ে।
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আদালতে বলেন, ‘আমরা অবশ্যই কনসার্ন রয়েছি। আমাদের কাছে সব তথ্য রয়েছে। সেগুলো আদালতে উপস্থাপন করতে পারব।’
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।
বাংলাদেশ থেকে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়ে গত সোমবার হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করা হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস রিটটি করেন।
রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে ব্যাংকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদী চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীতের এবং বর্তমানে এই ধরনের অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদন করা হয়।
প্রকৌশল নিউজ/এস