এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

ধর্ষণকারী ৮ জন

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগের আটজন কর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ডিএনএ টেস্ট এজাহারভুক্ত ৮ আসামির মধ্যে ৬ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।

চার্জশিটভুক্ত ৮ আসামির মধ্যে ছয়জন এজাহারভুক্ত। তারা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাইপাড়া গ্রামের তাহিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক, হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর, দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে। বাকি দুই আসামি হলেন- মিসবাহ উর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিন। কোনো পদে না থাকলেও গ্রেপ্তার হওয়া সবাই এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর ছাত্রাবাস থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় দুইজনকে আসামি করে একই আদালতে পৃথক চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- রনি ও সাইফুর।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজের হোস্টেলে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় র‌্যাব ও পুলিশ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। সর্বশেষ মামলায় গ্রেপ্তার ৮ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার পর ২৯ নভেম্বর রিপোর্টও হাতে পান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ডিএনও রিপোর্টে ধর্ষণ ও সহযোগিতায় প্রত্যেক আসামির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।