‘আইপি ফ্যালকন’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন ব্যারিস্টার ওলোরা
মেধাস্বত্ত্ব ও নারী উন্নয়নে অবদান রাখায় ‘আইপি ফ্যালকন’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিন। সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় একশ জনকে তাদের নিজ নিজ কাজে গুরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়াা হয়।
গত সপ্তাহে দুবাইয়ে হোটেল ক্রাউন প্লাজা ডিয়েরাতে লেক্স টক ওয়ার্ল্ড আয়োজিত গ্লোবাল কনফারেন্স তাদের হাতে এ পুরুষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
আয়োজকরা বলেন, অনুষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক আইন অঙ্গণের বিষেশজ্ঞ, প্রফেশনাল, সরকারী সংস্থা, ল’ফার্ম, কর্পোরেট, ভেন্ডার এবং ব্যবসায়িক প্লাটফর্মে যুক্ত ভবিষ্যতে আইন ব্যবসায় পরিবর্তন এবং নতুন চিন্তা ধারায় জ্ঞান যোগাযোগ নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের জন্য অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
পুুরুস্কার পাওয়ার পর ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিন বলেন, আমার ধারণা ছিলনা এ পুরুস্কার আমি পাব। তবে, পুরুস্কার পাবার পর আমার দায়িত্ব বেড়ে গেছে। আমার কাজের যে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি আমার কষ্ট ভূলিয়ে দিয়েছে।আগামীতে সাধারণ মানুষের জন্য আরো কাজ করতে চাই।
ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিন উইমেন ইন আই,পি বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশে মেধাস্বত্ব ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন। প্রথম ব্যারিস্টার হিসেবে মেধাস্বত্ত্ব ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ করার স্বীকৃতি হিসেবে তাকে পুরষ্কৃত করা হয়।
ব্যারিস্টার ওলোরা আফরিনের কাজের ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘কপি রাইট’। এছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গণে নারীরা যারা সাথে মেধাস্বত্ব জড়িত যেমন, লেখক, ডিজাইনার, আর্কিটেক, ফার্মাসিস্ট, প্রেইন্টার ইত্যাদি কাজের সাথে কাজ করছেন। এছাড়া, প্রতিটি জেলায় নারীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি ও বিনা মূল্যে আইনী পরামর্শ এবং স্টাট আপ কোম্পানীর স্থায়ীত্ব নিশ্চিত করণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি একজন Accredited Mediator কপিরাইট সমিতি (এলসিএসসিএফ) এর সেক্রেটারী জেনারেল। এছাড়া, ব্যারিস্টার ওলোরা বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহ্যাসিক ভাষণের ডিজিটাল কপিরাইট লাইসেন্স বাতিল করণে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশের নতুন কপিরাইট আইনের পলিসি মেকিং, রয়েলটি কালেকশন, ডিস্ট্রিবিউশন, প্রণেতা এবং সৃজনশীল কর্মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের মেধাস্বত্ত্বের সুরক্ষা, ডাকা প্রোটেকশনের জন্য কাজ করে চলছেন।
এর আগে তিনি লিংকন’স ইন থেকে কল টু দ্যা বার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে পিএইচডি’তে অধ্যায়নরত আছেন।