ইলেকট্রিক গাড়ি: শুল্ক প্রত্যাহার চায় বারভিডা


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
ইলেকট্রিক গাড়ি: শুল্ক প্রত্যাহার চায় বারভিডা

বারভিডা ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স এসোসিয়েশন (বারভিডা) দেশে ইলেকট্রিক গাড়ির বাজার সৃষ্টির যথেষ্ট সুযোগ আছে বলে জানিয়েছে। এ কারণ সংস্থাটি দাবি করেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত মোটরগাড়ি আমদানিতে প্রচলিত ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক-কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের। সেইসাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন গাড়ির পাশাপাশি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে সুনির্দিষ্ট শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে বারভিডা।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় এই প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম (সম্রাট), জসিম উদ্দিন মিন্টু, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ মোকলেসুর রহমান প্রমুখ। রাজস্ব বোর্ডের পক্ষে শুল্ক ও ভ্যাট প্রশাসন বিভাগের সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, শুল্ক নীতি ও আইসিটি বিভাগের সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়াসহ বাজেট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাজেট প্রস্তাবে বারভিডা সভাপতি আবদুল হক বলেন, ‘একটি কম্প্রিহেনসিভ নীতিমালার আলোকে ইলেকট্রনিক ভেহিক্যাল আমদানি ও দেশের বাজারে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সামাজিক বাস্তবতায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বিলাসদ্রব্যের তালিকা থেকে বাদ দেয়া উচিত। সম-প্রকৃতির ব্র্যান্ড নিউ মোটরযানের ওপর আরোপিত স্পেসিফিক ডিউটি (নির্ধারিত শুল্ক) থেকে বছর ও গাড়ির প্রকৃতি ভেদে ১ বছর পুরনো ১০ শতাংশ, ২ বছর পুরনো ২০ শতাংশ, ৩ বছর পুরনো ৩০ শতাংশ, ৪ বছর পুরনো ৪০ শতাংশ এবং ৫ বছর পুরনো ৫০ শতাংশ হারে অবচয় দিয়ে রিকন্ডিশনড গাড়ির শুল্কায়ন মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব করেছি।’

এছাড়া ৪০ বা তার বেশি আসনের রিকশিন্ড বাসের সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ, রিকন্ডিশন্ড বাস, ডাম্প ট্রাক, ফায়ার ফাইটিং গাড়ি, মিক্সার লরি, ক্রেন লরিসহ অন্যান্য গাড়ি আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ করার দাবি জানায় সংগঠনটি। রাজস্ব বোর্ড সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বারভিডার পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাব এসেছে, তা রাজস্ব সহায়ক। নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এ প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরা হবে।’

প্রকৌশলনিউজ/এসআই