করোনাকালীন ৩ কোটি ৩৩ লাখ পরিবার টিসিবির পণ্য পেয়েছে
গতবছরের মার্চ থেকে চলতি ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত করোনাকালীন এই ১৫ মাসে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৯৪ মেট্রিক টন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেশের ৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৬ পরিবারের কাছে সাশ্রয়ীমূল্যে বিক্রয় করেছে।
পণ্যের মধ্যে রয়েছে- সয়াবিন তেল, চিনি, মশুর ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা, আলু ও খেজুর। মহামারির সময়ে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পেয়ে উপকৃত হয়েছেন ১৩ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক বছরে বিশেষ করে রমজান মাসে ভোজ্যতেল ব্যতীত অন্যান্য সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর স্থিতিশীল ছিল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিত্যপণ্যের দেশীয় উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজার, আমদানি ও স্থানীয় বাজার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে করোনাকালীন ও বিগত দুই রমজানে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল এবং পণ্যের মূল্যেও স্থিতিশীলতা রয়েছে। কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক বাজারে উর্ধ্বগতির কারণে গতবছরের জুন থেকে ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলছে, ভোজ্যতেল একটি আমদানি নির্ভর পণ্য, তাই ভোজ্যতেলের বাজার দর মূলত নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজার দরের উঠানামার উপর। ভোজ্যতেলের মোট চাহিদার ৯৫ ভাগেরও বেশি আমদানির মাধ্যমে পূরণ হয়। তাই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে স্থানীয় বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে যে হারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, স্থানীয় বাজারে সেই হারে মূল্য বৃদ্ধি বাড়েনি।
আন্তর্জাতিক বাজার দর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এক বছর পূর্বে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের মূল্য কেজি প্রতি ছিল ৫২ দশমিক ১১ টাকা, বর্তমানে এর মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৩৫ দশমিক ৮৪ টাকা। অর্থাৎ এই সময়ে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের মূল্য বেড়েছে ১৬০ শতাংশ। একই সময়ে স্থানীয় বাজার দর পর্যালোচনা করে দেখা যায় এক বছর পূর্বের খোলা সয়াবিন তেলের বাজারদর ছিল ৮৮ থেকে ৯৩ টাকা কিন্তু বর্তমানে তা ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে অর্থাৎ এই সময়ে দেশীয় বাজারে মূল্য বেড়েছে ৩৫ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় কম।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে। একইসাথে টিসিবি ট্রাক সেলের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নিন্ম আয়ের মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস