ঘূর্ণিঝড় ইয়াস : শ্যামনগরে চিংড়িতে ক্ষতি ১০ কোটির বেশি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় সাদা সোনা নামে খ্যাত চিংড়িতে ক্ষতি হয়েছে সোয়া ১০ কোটি টাকার। দুর্গত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজারের উপরে।
ইয়াসের প্রভাবে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার লেবুবুনিয়া ও ৩নং গাবুরায়, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাবাটি ও পদ্মপুকুর ইউপির ঝাঁপা পাতাখালী নামকস্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।
বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশের কারণে উপজেলার সাদাসোনা নামে খ্যাত চিংড়ি, কাঁচা ঘরবাড়ি, টয়লেট, খাওয়ার ও ব্যবহারের পানির উৎস, শাকসবজিসহ অন্যান্য সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার বলেন, ইয়াসের প্রভাবে উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি ঘের ৩৫০০টি, যার আয়তন ৩৮০০ হেক্টর। মৎস্য সম্পদে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে চিংড়ির ক্ষতি ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সাদা মাছ সাড়ে ৭ লাখ টাকা, পোনার ক্ষতি ২ লাখ টাকা, পিএল ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ও অবকাঠামোতে ক্ষতি ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন, ইয়াসের প্রভাবে উপজেলায় দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজার ৮শত জন। ১২টি ইউপিতে ৩ হাজার ৫শত কাঁচা, আধা পাকা ও পাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাবাসী ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে জীর্ণ বেড়িবাঁধে কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছাস আতঙ্কে রয়েছেন।
প্রকৌশল নিউজ/প্রতিনিধি/এমআরএস