বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার কথা জানালো ভিয়েতনাম
বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম এই দু’দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করলেন ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন ও ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
রবিবার (২০ জুন) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও বাংলাদেশস্থ ভিয়েতনাম দূতাবাসের মধ্যে সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, বিটুবি ম্যাচ-মেকিং, ক্রেতা-বিক্রেতা’র সম্মেলন ও বাণিজ্য মেলা আয়োজন, পণ্য ও সেবা প্রদানের কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে যৌথ গবেষণা পরিচালনায় তারা একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এবং ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উক্ত স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এ ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভিয়েতনাম দূতাবাস ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে ‘ভিয়েতনাম ডেস্ক’ স্থাপন করবে।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বর্তমানে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৬৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে পারষ্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ এবং নতুন ব্যবসায়িক সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দু’দেশের বাণিজ্যের আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশে সরকার নানাবিধ সুবিধা প্রদান করছে, যেগুলো গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ ছাড়াও বাংলাদেশে কৃষি, খাদ্য-প্রক্রিয়াজাতকরণ, জাহাজ নির্মাণ, ইলেকট্রনিক্স, চামড়া, পাট, হালকা প্রকৌশল এবং হ্যান্ডিক্রাফ্ট প্রভৃতি শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ভিয়েতনামের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে দূতাবাসকে সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন, স্বাক্ষরিত সহযোগিতা স্মারকের কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর জোরারোপ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে দু’দেশের উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বেশ কিছু সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে, যেখানে দু’দেশের উদ্যোক্তাবৃন্দ যৌথভাবে কাজ করতে পারে।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে মবিন, এফসিএস, এফসিএ এবং সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।