‘জমিদার বাড়ি’তে শাহনূর
টিভি ধারাবাহিকে যুক্ত হলেন চিত্রনায়িকা শাহনূর। সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের পরিচালনায় বৈশাখী টেলিভিশনের দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘জমিদার বাড়ি’তে যুক্ত হয়েছেন শাহনূর।
নির্মাতা জানান, জমিদার বাড়ির ঘসেটি বেগম-খ্যাত শম্পা রেজার বড় মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন শাহনূর। নাটকটির ৭০তম পর্ব থেকে শানে নূর চরিত্রে যুক্ত হন তিনি।
শাহনূর বলেন, ‘একদিকে সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের মতো মেধাবী পরিচালক অন্যদিকে টিপু আলম মিলনের অসাধারণ গল্প। মূলত এ দুটি কারণে অভিনয়ের ব্যাপারে আমি আগ্রহী হই। আমার চরিত্রটিও বেশ মজার।’
বৈশাখী টেলিভিশনের তারকাবহুল এ ধারাবাহিক নাটকটি প্রচার হচ্ছে সপ্তাহে ৩ দিন- প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২০ ও ১১টা ৩০ মিনিটে। এতে আরও অভিনয় করছেন মনোজ সেন গুপ্ত, শম্পা রেজা, আ খ ম হাসান, নাদিয়া মীম, শিল্পী সরকার অপু, সুব্রত, মোমেনা চৌধুরী, মিলন ভট্ট, সিফাত, ইমতু, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ।
নাটকের কাহিনি বলতে গিয়ে টিপু আলম মিলন বলেন, ‘জমিদারি প্রথা শেষ হয়েছে সেই কবে। ভগ্নপ্রায় জমিদার বাড়িগুলো এখন পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত। জমিদারি প্রথা শেষ হলেও বংশ পরম্পরায় তাদের আচার-আচরণ এখনও রয়ে গেছে আগের মতোই। নদী মরে গেলে যেমন তার বাঁক রয়ে যায়, তেমনি জমিদারি শেষ হলেও তাদের শরীরে রয়ে যায় অহংকার। তারা মানতেই চায় না এ এক নতুন সময়, তাদের জমিদারি এখন আর নেই। মোট মিলিয়ে সমাজের নানা অসংগতিগুলোই ওঠে এসেছে নাটকের গল্পে।’
১৯৯৯ সালে ‘ফাঁসির আদেশ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা করেন শাহনূর। যদিও চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি। ২০০০ সালে ‘জিদ্দি সন্তান’ দিয়ে তার অভিষেক হয়। এতে তিনি রুবেলের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। এরপর ২০০৩ সালে তিনি ‘সাহসী মানুষ চাই’ ও ‘কারাগার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সাহসী মানুষ চাই দুইটি বিভাগে ও কারাগার একটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।
২০০৫ সালে তিনি ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ পাঁচটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল। ২০১৯ সালে মুক্তি পায় শাহনূরের সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘ইন্দুবালা’।
প্রকৌশল নিউজ/এমএস