করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর


প্রকৌশল নিউজ :
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণেই দেশে দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। এখন তৃতীয় ঢেউয়ে যেন আক্রান্ত না হই সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। এসময় সচেতন না হলে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ‘খাদ্যের কথা ভাবলে, পুষ্টির কথাও ভাবুন’ শীর্ষক জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন এবং আলোচনা সভায় তিনি এ আশঙ্কার কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই যে আমরা বেসামালভাবে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করলাম, মাস্ক পরলাম না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলাম না। যার ফলে আমরা দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হলাম। একই কাজ যদি আমরা আবারও করি, তাহলে দেশে আবার তৃতীয় ঢেউ আসবে।

জাহিদ মালেক বলেন, হঠাৎ করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেল কেন, দ্বিতীয় ঢেউ এলো কেন? করোনার প্রথম ঢেউ আমরা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিলাম। মৃত্যুর হার দিনে ৭ থেকে ৮ জনে নেমে এসেছিল। আমাদের দেশে সংক্রমণ কমে দৈনিক সাড়ে তিন থেকে চারশো হতো। হঠাৎ করেই সেই সংক্রমণ ৭ হাজারে উঠে গেল কেন? মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ হয়ে গেল কীভাবে। এই বিষয়গুলো দেখতে হবে।

‘বিষয়গুলো আমরা যদি চিহ্নিত না করতে পারি, তাহলে আমাদের আবার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমরা আবারও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হতে পারি। সুতরাং সেই দিকটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

মন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, আমরা আর কত চিকিৎসা দেব, হাসপাতলে আর কত শয্যা বাড়াবো। কত হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা দেব, আমরা কত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করবো।

হাসপাতালতো আর রাতারাতি বৃদ্ধি করা যায় না। হাসপাতালের বেডওতো রাতারাতি বাড়ানো যায় না। তারপরও আমরা এই অল্প সময়ের মধ্যে আড়াই হাজার বেড থেকে ৭/৮ হাজার বেড বৃদ্ধি করেছি। দশ গুণ রোগীও আমরা সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তারপরও বাড়লে আর সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, সেই জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা চাই করোনা থেকে যেন আমরা রক্ষা পাই। আশা করি, আমরা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাই, আমাদের জীবনযাত্রা যেন ভাল হয়। আমাদের যেন পুষ্টিকর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা থাকে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাসার খুরশিদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিচালক শাহানারা বেগম।