সৌদি আরবের রিয়াদে বিজয় দিবস উদযাপিত
মহান স্বাধীনতা দিবসের ৪৯তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস। দিনব্যাপী নানান অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করে।
বুধবার দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, দিনের শুরুতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম(বার)।
এরপর দূতাবাসে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে রিয়াদের কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অভিবাসীদের নিয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, বিজয় অর্জন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ বিষয়ে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ মা-বোনদের।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরন্তর পরিশ্রম করে চলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্ভর উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বিদেশে বসবাসরত অভিবাসীসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ড মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান এস এম আনিসুল হক তার বক্তব্যে বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের তুলনামূলক বিবরণ তুলে ধরেন। এছাড়া দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণ ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের সার্বিক উন্নয়নের বিষয় বর্ণনা করেন। দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান ও মিনিস্টার ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সব শহীদের রূহের মাগফেরাত ও দেশ, জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীরা এ ভার্চ্যুয়াল সভায় যোগ দেন। অভিবাসীরা ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব প্রদান, মহান বিজয় অর্জন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১, স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মাণ ও ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য দেন।