জরুরি অবস্থা জারি করে ফের আলোচনায় ট্রাম্প


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
জরুরি অবস্থা জারি করে ফের আলোচনায় ট্রাম্প
  • Font increase
  • Font Decrease

৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের আক্রমনের পর ঘরে বাইরে বেশ চাপে আছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজ দলের উগ্র সমর্থকরা সেদিনের হামলার সাথে জড়িত থাকলেও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছিলেন তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা। 

তবে গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্পের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প বিবৃতির মাধ্যমে ঐ হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারি আহ্বান জানিয়েছেন। এতে ট্রাম্পের ওপর চাপ আরো বেড়েছে। এমনিতেই আগে থেকেই হোয়াইট হাউজ ছাড়ার পর ট্রাম্প এবং মেলানিয়া আলাদা বসবাস করবেন বলে গুঞ্জন শোনা গেছে। সাথে তাকে ইমপিচমেন্ট করার জন্য ডেমোক্র্যাটদের হুমকি তো রয়েছেই। 

এসব কিছু চিন্তা করেই হয়তবা স্টিমুলাস প্যাকেজের মত সারা দেশে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে নিজের ইমেজকে পুনরুদ্ধার করার চেস্টা করছেন ক্ষাপাটে ট্রাম্প। 

মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে আবারো উগ্র ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালানোর ঘোষনা দেওয়ার পর  উদ্বেগ বেড়েছে। তবে দিন যত যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে।

একদিকে করোনা, অন্যদিকে মার্কিন কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আরেকটি ঐতিহাসিক দিন হতে চলছে। 

ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকের নজিরবিহীন তাণ্ডবের পর সারা দেশে বিরাজ করছে সতর্কাবস্থা। আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস শপথ নেবেন। 

অভিষেক অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের নাশকতা যেন না ঘটে, তার জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। গতকাল সোমবার তিনি ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ যেন গরু মেরে জুতো দান করার মত ঘটনা।  

এদিকে এফবিআই দেশটির অভ্যন্তরীণ সতর্কতা জারি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সব বাহিনীকে যেকোনো নাশকতা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় শহর, মহানগরে নেওয়া হচ্ছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকবে।। ৬ দিন আগ থেকেই প্রস্তুত থাকবে সবকিছু। শপথ অনুষ্ঠানকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে ১৫ হাজার অতিরিক্ত ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আরও ৩ হাজার নিরাপত্তা কর্মী নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডিসি কর্তৃপক্ষ। নিউইয়র্ক থেকে ২০০ পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াশিংটন ডিসিতে নিরাপত্তার কাজে যোগ দেবেন।

করোনাভাইরাসের কারণে এবারের প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান হবে খুব ছোট পরিসরে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর সমর্থকদের ডিসিতে ভ্রমণ না করে বাড়িতে বসে অভিষেক অনুষ্ঠান দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। এ ছাড়া পেনসিলভানিয়া অ্যাভিনিউয়ের ঐতিহ্যবাহী কুচকাওয়াজ, প্যারেডও করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার ওভাল অফিসে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সাথে বিশেষ বৈঠক করেছেন তিনি। ডেমোক্র্যাট নেতা ও স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির ট্রাম্পকে অপসারণের যে আহ্বান মাইক পেন্সের প্রতি ছিল বৈঠক শেষে তা নাকচ করে তিনি জানিয়েছেন তিনি এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত দেশের জন্য কাজ করে যেতে চান।