ইরানের পরমানু অস্ত্র তৈরি কতদূর?
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, ইরান পরমাণু বোমা তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদান থেকে অন্প দূরে আছে। অবশ্য ইরান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির দাবি, তারা শুধু বেসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্যই পরমাণু কর্মসূচি চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বেশি বেশি বলে তাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।
জো বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম এজেন্ডা ছিল ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু সমঝোতায় ফেরা। ক্ষমতাগ্রহণের পরে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এনবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইরান যদি পরমাণু সমঝোতার প্রতিশ্রুতিতে ফিরে আসে, তবে ওয়াশিংটনও একই কাজ করতে প্রস্তুত।
চাপের মুখে ইরানের সঙ্গে সহসাই যে সমঝোতায় ফেরা হচ্ছে না, সেটি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন। এখন সমঝোতায় ফেরার জন্য তারা বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছেন তেহরানের জন্য। বলা হচ্ছে, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন। তবে বাইডেনের এ সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েলের মতো মার্কিন মিত্ররা।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে ইরানের সঙ্গে আরো পাঁচটি দেশকে সঙ্গে নিয়ে পরমাণু সমঝোতা চুক্তিতে সই করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে সেই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারো ওই সমঝোতায় ফেরার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হতে পারে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।