ব্রিটিশ মন্ত্রীর অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই
যুক্তরাজ্যের গৃহায়ণমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক ধারণা দিয়েছেন। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দেওয়া তথ্য নিয়ে সম্প্রতি বিভ্রান্তি দেখা দেয়। তবে মন্ত্রী বলেছেন, এসব তথ্য স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করা হবে।
গত সোমবার অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে গড়ে ৭০% কার্যকরী। বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনার ভিত্তিতে তিন ধরনের কার্যকারিতার মাত্রা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গড় কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ, সবচেয়ে কম কার্যকারিতার মাত্রা ৬২ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ মাত্রা ৯০ শতাংশ। তবে টিকা সম্পর্কে এই অস্পষ্ট তথ্যের কারণে ভ্যাকসিনের সাফল্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অক্সফোর্ড উপস্থাপিত ডাটাগুলো নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সে প্রশ্নটি এর নিরাপত্তা নিয়ে নয়, বরং এ ভ্যাকসিনটি কতটা কার্যকর তা নিয়ে।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, অযাচিত উদ্বেগের কোনও কারণ রয়েছে। আমরা এখন নিয়ন্ত্রকদের কাছে চিঠি লিখে টিকা–সম্পর্কিত তথ্যের স্বাধীন মূল্যায়ন করতে বলেছি। আমাদের এখন স্বাধীন পর্যালোচনা করতে দিতে হবে।’
এরআগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবীদের একাংশকে কম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত। তাদের দাবি, এখন প্রতিষেধক মাপার সঠিক প্রক্রিয়া নির্ধারিত হয়েছে এবং এবার থেকে উৎপাদিত টিকার পরিমাণ সব সময় অপরিবর্তিত থাকবে। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে বলা হয়েছে, ভ্যাকসিন ট্রায়ালে উচ্চতম পর্যায় মেনে চলা হয়েছে এবং ভুল শোধরাতে গোটা প্রক্রিয়ার আরও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী প্যাসকাল সরিয়ট জানিয়েছেন, সংস্থাটি ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত ট্রায়ালের ব্যবস্থা করছে।