যে কারণে প্রাসাদ ছাড়তে হচ্ছে জাপানি রাজকুমারীকে


প্রকৌশল নিউজ :
যে কারণে প্রাসাদ ছাড়তে হচ্ছে জাপানি রাজকুমারীকে

মাকো

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজ পরিবারের বাইরে কাউকে বিয়ের মধ্য দিয়ে রাজশিরোপা হারাবেন জাপানি রাজকুমারী মাকো। অর্থাৎ তিনি আর রাজকুমারীর মর্যাদা পাবেন না।  জাপানের রাজপরিবার আইন ১৯৪৭ অনুসারে, রাজকন্যারা সাধারণ ব্যক্তিকে বিয়ে করলে তাকে ছাড়তে হয় রাজপরিবার ।

এর আগে এই বিয়ের অনুমোদন নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা ছিল। অবশেষে দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত থাকা এই বিয়ের অনুমোদন দিয়েছেন জাপানের যুবরাজ ফুমিহিতো। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রেমিকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হয়েছেন তিনি। সোমবার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম।

বাগদানের পর ২০১৮ সালে রাজকুমারী মাকো প্রেমিক কেই কোমুরোকে বিয়ে করছেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর কোমুরোর মায়ের এক আর্থিক জটিলতায় সেই বিয়ে আটকে যায়। বর্তমান রাজকন্যাকে বিয়ে করার মতো রাজপরিবারে কোনো পুরুষ সদস্যও নেই। তবে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে জাপানে ইতিবাচক জনমত রয়েছে।

জাপানের বর্তমান সম্রাট নারুহিতোর ছোটভাই যুবরাজ ফুমিহিতো মেয়ের বিয়েতে অনাপত্তি জানিয়ে বলেন, অনেক মানুষকে বোঝানো এবং বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা উদযান করতে সেই সংকটটি (আর্থিক) মোকাবিলা জরুরি। অবশ্য নিজের পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থনেতিক জটিলতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নিউ ইয়র্কের ফরদাম ইউনিভার্সির ল’ স্কুলে অধ্যায়নরত কোমুরো।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, রাজপরিবারের নিয়ম অনুসারে, বিয়ের পর মাকো হারাবেন তার রাজকীয় উপাধি। তাকে রাজপরিবার ছেড়ে চলে যেতে হবে। রাজপরিবার ছেড়ে মাকোকে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতে হবে দূরে কোনো স্থানে। রাজকন্যা এককালীন কিছু অর্থ পাবেন। সাধারণ নাগরিকদের মতো তাকে ভোট দিতে। এই দম্পতির সন্তানেরাও রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবে না।

তবে এরকম ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০০৫ সালে সম্রাট আকিহিতোর মেয়ে সায়াকো সাধারণ একজনকে বিয়ে করে রাজপরিবার ছেড়ে চলে যান। এককালীন ১৩ লাখ ডলার পেয়েছিলেন তিনি।