মাহে রমজান : ২০তম রোজার ফজিলত
রোজা মুসলমাদের ধর্মীর ৫টি স্তম্বের একটি। ফারসি শব্দ রোজার আরবি অর্থ হচ্ছে সওম, বহুবচনে সিয়াম। সওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তের ইবধান মতে, সওম হল আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশে নিয়তসহ সুবহে সাদিকের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার নামই সওম বা রোজা।
রমজান মাসের ৩০ দিনের রোজার ৩০টি ফজিলত রয়েছে। প্রকৌশলনিউজের পাঠকের জন্য প্রতিদিন রমজানের ফজিলত সম্পর্কে জানানো হয়। আজ জানানো হবে ২০তম রোজার ফজিলত ও দোয়া। ২০তম রমজানের রোজার ফজিলত সর্ম্পকে হাদিসে এসছে, ‘আল্লাহরপথে জীবন দানকারী শহীদের সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়।’
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) রমজান মাসে এই দোয়াগুলো পড়তেন। ‘আলবালাদুল আমিন’ ও ‘মিসবাহুল কাফআমি’ নামক গ্রন্থে রয়েছে এই দোয়াগুলো। আজ দেওয়া হল;
২০তম রোজার দোয়া
الیوم العشرون : اَللّـهُمَّ افْتَحْ لی فیهِ اَبْوابَ الْجِنانِ، وَاَغْلِقْ عَنّی فیهِ اَبْوابَ النّیرانِ، وَوَفِّقْنی فیهِ لِتِلاوَةِ الْقُرْآنِ، یا مُنْزِلَ السَّکینَةِ فى قُلُوبِ الْمُؤْمِنینَ .
‘হে আল্লাহ! এ দিনে আমার জন্যে বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দাও এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দাও। আমাকে কোরআন তেলাওয়াতের তৌফিক দান কর। হে ঈমানদারদের অন্তরে প্রশান্তি দানকারী।’
এছাড়া, হাদিস শরীফে আরো এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন রমজানের প্রথম রাত আসে শয়তান ও অবাধ্য জিনদের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়। দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতপর এর কোনো দরজাই খোলা হয় না। বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। অতপর এর কোনো দরজাই বন্ধ করা হয় না।
রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর(রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, রমজানের জন্য বেহেশত সাজানো হয় বছরের প্রথম থেকে পরবর্তী বছর পর্যন্ত। তিনি বলেন, যখন রমজান মাসের প্রথম দিন উপস্থিত হয় বেহেশতের গাছের পাতা হতে আরশের নিচে বড় বড় চোখ বিশিষ্ট হুরদের প্রতি বিশেষ হাওয়া প্রবাহিত হয়। তখন তারা বলে, হে পালনকর্তা! আপনার বান্দাদের মধ্য হতে আমাদের জন্য এমন স্বামী নির্দিষ্ট করুন যাদের দেখে আমাদের চোখ জুড়াবে এবং আমাদের দেখে তাদের চোখ জুড়াবে।