বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বে আজ প্রশংসিত: প্রধানমন্ত্রী


প্রকৌশল নিউজ:
বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বে আজ প্রশংসিত: প্রধানমন্ত্রী
  • Font increase
  • Font Decrease

সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল তারাই আজ ব্যর্থ। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসাবে সারাবিশ্বে যে মর্যাদা পেয়েছে এই মর্যাদা ধরে রেখে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবো এবং জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবো। জাতির পিতার এই প্রত্যাবর্তন দিবসে, এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।

রোববার বিকেলে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, এ জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস এগুলোর হাত থেকে দেশকে মুক্ত রেখে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো। জাতির পিতার এই প্রত্যাবর্তন দিবসে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।

ঐতিহাসিক দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

গণভবন প্রান্তে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রান্তে সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে আরও বক্তব্য রাখেন- দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শেখ বজলুর রহমান, আবু আহমেদ মান্নাফী, এসএম মান্নান কচি ও হুমায়ুন কবির।

উল্লেখ্য, ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাঙালি জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাসের একটি অনন্য মাইলফলক। এদিন পূর্ণতা পায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বাধীনতা। স্বাধীনতার ২৩ দিন পর ১৯৭২ সালের এদিন অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি বেলা ১টা ৪১ মিনিটে অবিসংবাদিত নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীন জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে বাঙ্গালী।