বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রসংশায় পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত


প্রকৌশল নিউজ রির্পোট:
বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রসংশায় পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্ময়কর সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈশ্বিক সূচকগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ আশাব্যঞ্জক। ফলে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সুনাম ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বুধবার ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে  ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এসময় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এনকেএ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং পাকিস্তান দূতাবাসের কমার্শিয়াল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সুলেমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী।

সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সংখ্যক উদ্যোক্তা ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ ২০২১’-এর বিটুবি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ডিসিসিআই প্রতিবছরই এ ধরনের আয়োজন করবে।

ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী  উল্লেখ করেন, দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি ‘যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন’ স্থাপন করা হয়েছিল, যার সর্বশেষ সভা ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের কার্যক্রম পুনরায় সক্রিয়ভাবে চালু করার প্রস্তাব করেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে দুদেশের মধ্যকার সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপন এবং করাচি ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মধ্যে সরাসরি পণ্য পরিবহন কার্যক্রম দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালুকরণের আহ্বান জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রাপ্তিতে বিদ্যমান সকল বিধিনিষেধ তুলে দিয়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি উল্লেখ করেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৪৩.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দুদেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিরসন এবং উভয় দেশের বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার ওপর জোর দেন তারা।