শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্ত ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, যারা মাদকাসক্ত হয় তাদের অধিকাংশই তাদের বন্ধু-বান্ধব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হয়। তাই বন্ধু-বান্ধব নির্বাচন করার আগে সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণপদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিবারের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা লাভে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ৯১৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা বৃত্তি-২০২০ প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডিএমপি পরিবারের জন্য আজকের দিনটি অনেক আনন্দের। এ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান আমাদের সন্তানদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করবে। আমরা তাদের মাঝে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করতে চাই। যাতে তারা মানুষের মত মানুষ হতে পারে। অবস্থা পরিবর্তনের একমাত্র হাতিয়ার শিক্ষা। শিক্ষাই সবার মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে দেয়। সফলতার জন্য শর্টকাট কোন রাস্তা নেই। যারা পড়ালেখায় ফাঁকিবাজি করবে তাদের জীবনও ফাঁকিবাজিতে পড়ে যাবে।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, তোমরা আজকে যারা সাফল্য পেয়েছ তা যথেষ্ট নয়। সামনে তোমাদের জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা অপেক্ষা করছে। তার প্রস্তুতি তোমাদের এখন থেকেই নিতে হবে। শুধু পুস্তকের লেখাপড়ায় কাঙ্খিত সাফল্য পাওয়া যাবেনা। দেশ, দেশের স্বাধীনতা, মূ্ল্যবোধ, সারা বিশ্ব সম্পর্কে তোমাদের ধারণা রাখতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষের মঙ্গলের ব্রত তোমাদের মননে থাকতে হবে। দেশ যদি এগিয়ে যায় তাহলে আমরাও এগিয়ে যাব। কখনও পিতা-মাতার মনঃকষ্টের কারণ হবেনা। কারন, তারা সর্বোচ্চ দিয়ে তোমাদের মানুষ করেছে। তাদের ত্যাগ, তাদের পরিশ্রমকে কখনো অবমূল্যায়ন করবেনা।
তিনি আরও বলেন, আমারা যারা পুলিশে চাকরি করি তাদের জন্য একটি জটিল সমস্যা হলো সন্তানদের লেখাপড়া। কারণ, যেকোনও সময় আমাদের বদলি হতে পারে। তাই তাদের লেখাপড়ার যাতে কোন ক্ষতি না হয় তার জন্য সম্মানিত ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ মহোদয় ক্যাডেট কলেজের আদলে বিভাগীয় শহরগুলোতে ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার উদ্যোগ নিচ্ছেন।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, ও-লেভেল, উচ্চ শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা সহায়তা বৃত্তি প্রাপ্ত ৯১৫ জনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে সর্বমোট ৮৫,৭৭,০০০ টাকা বিতরণ করা হয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারনে এবার আয়োজনটি সামাজিক দুরত্ব মেনে অনুষ্ঠিত হয়। যার ফলে সবার উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি। পুরস্কারপ্রাপ্ত ৯১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পিইসি থেকে ২২ জন, জেএসসি থেকে ২০ জন, এসএসসি থেকে ২০ জন, ও-লেভেল থেকে ১ জন, উচ্চ শিক্ষাবৃত্তি থেকে ২১, শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ১৯ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।