ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে দেশের সাফল্যগাঁথা তুলে ধরা হবে
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন ও অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে উন্নয়নের অভাবনীয় সাফল্যগাঁথা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সেই সাথে তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করে নতুন প্রস্তাব দেবো। আমরা বিশ্বাস করি দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন এবং আগামী দুই বছর ডি-৮ এর চেয়ারের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের অভাবনীয় সাফল্যগাঁথা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া এর মাধ্যমে শুধু ডি-৮ এ নয় বরং সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণ, স্বার্থ সংরক্ষণ ও বিশ্ব পরিমণ্ডলে স্বীয় কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও সুসংহত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে ডি-৮ অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহের যুব সম্প্রদায়কে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্য নিয়ে দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আগামী ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক দেশ বাংলাদেশ। এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো 'বৈশ্বিক রুপান্তরের জন্য অংশীদারিত্ব: যুব সম্প্রদায় ও প্রযুক্তি শক্তির মুক্তি।'
এ বিষয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও, অন্যান্য ডি-৮ রাষ্ট্র-সরকারপ্রধানরাও ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিতব্য উক্ত শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন।'
শীর্ষ সম্মেলনে বাণিজ্য, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প সহযোগিতা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, পরিবহন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং পর্যটন এই ছয়টি ক্ষেত্রসমূহে সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ আন্তর্জাতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে সম্মিলিত নীতিগত অবস্থান গ্রহণ করা হবে।
ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন এবং ইতোপূর্বে, বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজন করেছিল।