বিশেষজ্ঞদের একহাত নিলেন স্বাস্থ্যের ডিজি
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। করোনা মহামারিকালীন সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন কাজের সমালোচনার জবাবে তিনি বিশেষজ্ঞদেরই কাজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, তাঁরা এখন নিরাপদ বাক্সে থেকে কথা বলছেন, কিন্তু দায়িত্বে থাকতে কী করেছেন?
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের নিয়ে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেই তিনি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিকদের সমালোচনা করেন।
ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ অনেকে বলছেন, এক বছরে আমরা সক্ষমতা বাড়াইনি। যারা এক দিনও কোনো রোগীর পাশে দাঁড়াননি, তাঁরা রোগতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছিলেন। তাঁরা তখন কী করেছিলেন? তাঁরা এখন টেলিভিশনে বসে টক শোতে লম্বা লম্বা কথা বলেন। আমাদের পাশে আসেন। আপনার প্রজ্ঞা, জ্ঞান কাজে লাগান। হাসপাতালে চলুন, রোগীর পাশে দাঁড়ান। সেটা না করে ওই নিরাপদ বাক্সের মধ্যে বসে এই টেলিভিশন থেকে ওই টেলিভিশনে গিয়ে নানান ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সমালোচনা বিভ্রান্তিকর এবং দেশের জন্য মঙ্গল হবে না উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আপনারাও এই সরকারের চাকরি করেছেন, সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। আপনি অবসরে গেছেন, কিন্তু দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাননি। আপনি এমন কথা বলতে পারেন না, যে কাজটা আপনি আগে করতেন। তার বিরূপ সমালোচনা করতে পারেন না। এটা গর্হিত অন্যায়। এটা দায়িত্বহীনতার পরিচয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, তিনি কোনো ব্যক্তিবিশেষকে আক্রান্ত করছেন না। স্বাস্থ্য বিভাগ ও দেশের মানুষের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে বলেন, টেলিভিশনের নিরাপদ বাক্স থেকে বেরিয়ে আসুন। অধিদপ্তরে আসুন। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি।
সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ নিয়েও ক্ষোভ ঝাড়েন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে কিছু কিছু গণমাধ্যম যেভাবে তাঁদের সমালোচনা করছেন, তা তাঁদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। পৃথিবীতে এ ধরনের নজির নেই। তিনি আরও বলেন, ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে কেউ না। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি সমালোচনার সময় না এবং তাঁদের সমাজের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রকৌশল নিউজ/এমআর