দুর্নীতির দায়ে পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান বরখাস্ত


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক:
দুর্নীতির দায়ে পাংশা উপজেলা চেয়ারম্যান বরখাস্ত
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ির জেলার পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যানের নাম  মো. ফরিদ হাসান ওদুদ।

সেইসাথে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ এর বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদের অধিগ্রহণকৃত জমিতে নির্মিত ১০টি দোকান তার আপন ভাই ও ফুপাতো ভাইয়ের নামে বরাদ্দ দেওয়া। রাজস্ব তহবিল ব্যবহারেরর নির্দেশনা অনুসরণ না করেই গবীর ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে নিজস্ব লোকের সন্তানদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ার কারণে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ সামছুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।

গতকাল ৫ মে (বুধবার) মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও বৃহস্পতিবার তাদের কাছে প্রজ্ঞাপনটি এসেছে।

প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো বিভাগীয় কমিশনারের তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে জবাব প্রদানের জন্য বলা হলেও তিনি জবাব দেননি এবং পরবর্তীতে ব্যক্তিগত শুনানি প্রদানের জন্য বলা হলেও তিনি শুনানিতে অংশগ্রহণ করেনি। সেহেতু উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ (উপজেলা পরিষদ, সংশোধন আইন,২০২১ দ্বারা সংশোধিত) এর ১৩ 'খ' ধারার বিধান অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ মন্ডলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো এবং পাংশা উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হল।

বহিস্কার প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত মুঠোফোনে ফরিদ হাসান ওদুদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, 'মন্ত্রণালয় আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি সততা এবং নিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করবো।'

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান ওদুদ এর বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদের অধিগ্রহণকৃত জমিতে নির্মিত ১০টি দোকান তার আপন ভাই ও ফুপাতো ভাইয়ের নামে বরাদ্দ দেওয়া। রাজস্ব তহবিল ব্যবহারেরর নির্দেশনা অনুসরণ না করেই গবীর ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে নিজস্ব লোকের সন্তানদের বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করাসহ বিভিন্ন অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ার কারণে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ সামছুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।