৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ রংপুর চিনিকলের এমডি
গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলের ৯০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করার প্রতিবাদে ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) নূরুল কবিরকে তার অফিসে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।
শনিবার সকাল সোয়া ৯টা থেকে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় চিনিকলের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও আটকা পড়েন।
খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ এসে সেখানে অবস্থান নেয়। শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভের তীব্রতা বাড়লে সকাল সাড়ে ১১টায় গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কয়েকজন পুলিশসহ এসে উত্তেজিত শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে দুপুর ১টায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন টেলিফোনে শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে সোয়া ১টায় অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা।
শ্রমিক নেতারা দাবি করেন, সরকারি নিয়োগবিধি মেনে কর্পোরেশনের সদর দফতরের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত কমিটির কাছে পরীক্ষা দিয়ে প্রায় এক যুগ ধরে চাকরি করছেন কানামনা (কাজ নাই, মজুরি নাই) ভিত্তিতে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীরা। সেখানে বছরের শেষ দিনে মৌখিক নির্দেশে কারও চাকরি যেতে পারে না। অন্যায় এ সিদ্ধান্ত শ্রমিকরা কোনভাবেই মেনে নেবে না।
রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে অবরোধ চলাকালে শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা অভিযোগ করে বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার চিফ অব পার্সোনেল রফিকুল ইসলাম প্রেস রিলিজে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন, আখ মাড়াই স্থগিত হওয়া চিনিকলগুলোর কোনো শ্রমিক-কর্মচারীর চাকরি যাবে না। তাদের বেতন-ভাতা আগের মতোই নিয়মিত প্রদান করা হবে। কিন্তু কোনো প্রজ্ঞাপন বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এ চিনিকলের কারখানা বিভাগের ৯০ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে বলে ৩১ ডিসেম্বর মৌখিকভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা কেউ মেনে নেবে না।
পরে রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূরুল কবির সাংবাদিকদের জনায়, আখ মাড়াই বন্ধ হওয়ায় কারখানায় কোনো কাজ না থাকায় কানামনাভিত্তিক ৯০ জন শ্রমিককে প্রথম পর্যায়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আমি জরুরি কাজে ঢাকায় যাচ্ছি। সেখান থেকে অনুমতি নিয়ে এসে তাদের নিয়োগের জন্য চেষ্টা করব।