সরাইলে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ


প্রকৌশল নিউজ ডেস্ক :
সরাইলে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহীদে মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিসুল ইসলাম ঠাকুর ও সদস্যসচিব নুরুজ্জামান লস্করের লোকজনের সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এম এম নাজমুল আহমেদসহ অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ উভয় পক্ষের ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দেশীয় অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। উপজেলা সদরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সরাইল উপজেলা বিএনপির ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে জেলা বিএনপি। কমিটিতে আনিসুল ইসলাম ঠাকুরকে আহ্বায়ক ও নুরুজ্জামান লস্করকে সদস্যসচিব করা হয়।

কমিটি গঠনের দুদিন পর ১ মার্চ ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে বিএনপির একটি অংশ উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে। তাঁরা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিকে অর্থের বিনিময়ে পকেট কমিটি বলে উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি করে আসছিলেন। তাঁরা সরাইল উপজেলা সদরে আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে সরাইল উপজেলা বিএনপির ১৮৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ওই কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। সেই কমিটির সভাপতি ছিলেন আবদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আনোয়ার হোসেন। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিতে আবদুর রহমানকে ১ নম্বর ও আনোয়ার হোসেন ২ নম্বর সদস্য করা হয়েছে। আর ৩ নম্বর সদস্য করা হয়েছে আক্তার হোসেনকে।

আনিসুল ইসলাম ঠাকুর বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে শহীদ মিনারের দিকে পৌঁছামাত্র নাজমুল আলম খন্দাকার ও আবদুল জব্বারের নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের পক্ষের দুলাল মাহমুদ আলীসহ ছয়জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে জেলা সদরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজকের ঘটনার জন্য আনোয়ার হোসেনের পক্ষের লোকজন দায়ী। আমরা শান্তির পক্ষে আছি।’

আর আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি অসুস্থ, কী হয়েছে কিছুই জানি না। শুনেছি, আজকের ঘটনার জন্য আমাকে দায়ী করা হচ্ছে। আমি কোনো সংঘাতের পথে নেই। হেয় করার জন্য আমার বিরুদ্ধে নানা রটনা ছড়ানো হচ্ছে।