৩৭ বছরেও নেই স্থানীয় প্রার্থী; রংপুর-১ আসনে স্থানীয় প্রার্থী দাবী স্থানীয়দের


নিজস্ব প্রতিবেদক :
৩৭ বছরেও নেই স্থানীয় প্রার্থী; রংপুর-১ আসনে স্থানীয় প্রার্থী দাবী স্থানীয়দের
  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর-১ আসনটি গংগাচড়া উপজেলা ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) ১-৮ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। স্থানীয়দের দাবি স্থানীয়দের সাথে যোগাযোগ ও খোঁজ খবর নেতার জন্য স্থানীয় এমপি দরকার। যে কোন কাজে যেনো স্থানীয় এমপির কাছে যেতে পারে। এই আসনে যারা সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পায় তারা অন্য কোন উপজেলা হতে এসে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এ দিকে প্রচার প্রচারণায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিকে মাঠে দেখা গেলেও বিএনপিকে দেখা যাচ্ছে না। প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে স্থানীয় প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ এর রংপুর জেলা কমিটির  সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আসাদুজ্জামান বাবলু ও  জাতীয় পার্টির ছাত্র  সংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ও রংপুর জেলা জাপার সদস্য আল মামুন। নির্বাচনের এখানো ৭ মাস বাকি রয়েছে। প্রার্থীর সমর্থকরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষে পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গংগাচড়া উপজেলা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে আলোচনা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মতো রংপুর গংগাচড়া-১ আসনেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। 

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আল মামুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন -রংপুর-১ আসনে গত ৩৭ বছরে স্থানীয় প্রার্থী না থাকায় স্থানীয়দের চাওয়ার পরিপেক্ষিতে প্রার্থী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চাই। এই আসনটি বরাবরই জাতীয় পার্টির দুর্গ বলে এই আসনের স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্যারের প্রতি ভাললাগা হতেই আমি জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি ৩ বছর। ৩ বছর ভাল কাজ করার পরে আমি কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি বর্তমানে। মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ তরুণ। এই তরুন ভোটাররাই আগামীদিনে দেশের নেতৃত্ব নির্ধারণ করবে। গঙ্গাচড়ার মানুষ অনেক অবহেলিত তাদের চাওয়া স্থানীয় একজন এমপি হলে তাদের সুখ দুঃখের সাথী হতে পারবে। আশা করি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের স্যার স্থানীয়দের দাবীর কথা বিবেচনা করে জাতীয় পার্টি হতে আমাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করা সম্ভব।

প্রচারণা কম থাকলেও থেমে নেই এই আসনের অন্যান্য প্রার্থীরা, এই আসনে এখন নাম শোনা যাচ্ছে, জাতীয় পার্টি হতে বহিস্কৃত মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, এরশাদের ভাতিজা ও সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, বিএনপির ওয়াহেদুজ্জামান মাবুসহ একাধিক নেতার নাম শোনা যাচ্ছে এই আসনে।