কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে 'লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট' প্রকল্পের অবিস্মরণীয় সাফল্য


প্রকৌশল নিউজ:
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে 'লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট' প্রকল্পের অবিস্মরণীয় সাফল্য
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অর্থায়নে পরিচালিত লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পটি অল্প সময়ের মধ্যেই সারা দেশব্যাপী তরুণদের মধ্যে প্রানচাঞ্চল্য সৃষ্টি করার পাশাপাশি অবিস্মরণীয় সাফল্য বয়ে এনেছে। 

প্রকল্পটির মাধ্যমে ইতোমধ্যে মিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে তরুণরা একটি অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ প্রকল্পের ১৫ টি লটের মধ্যে শুধুমাত্র লট-১৩ এর অধীনে চলমান প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এক লক্ষ ডলারেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে সাফল্য বয়ে এনেছে প্রশিক্ষণার্থীরা। 

লট-১৩ এর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি দেশের টাংগাইল, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলার মোট ৩০ টি উপজেলায়  চলমান রয়েছে। বেশ কিছু প্রশিক্ষণার্থী এখন উদ্দ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।

দেশের তরুণ প্রজন্মকে আইটি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাস্তবায়ন করছে লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে সারা দেশের তরুণ ও তরুণীদের আইটি প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে গড়ে তোলা হচ্ছে দক্ষ জনশক্তিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণরা নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে, তারা নিজের পায়ে দাঁড়াবে, নিজের বস নিজে হবে। লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক তরুণরাই উদ্যোক্তা হিসেবে আবির্ভূত হবে এবং এই প্রকল্পের মাধ্যমে আইটি সেক্টরে হাজারো তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। 

সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আকরাম হোসেইন লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পটির অবিস্মরণীয় সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ধন্যবাদ জানান। সে সাথে তিনি আরও ধন্যবাদ জানান প্রকল্প পরিচালক মোঃ আখতার মামুন এবং লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ কে।
   
তিনি বলেন, প্রকল্পটির শুরু থেকেই আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচলনাকারী কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি এই প্রকল্পটির গুনগত মান যাতে ঠিক থাকে সেজন্য কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। জুনাইদ আহমেদ পলকের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে বাংলাদেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি যেমন নতুন একটি রুপ পেয়েছে তেমনি উনার সঠিক মনিটরিং ব্যবস্থার কারনে এই প্রকল্পটি সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা দেশে ৬৪টি জেলার  ৪৯২টি উপজেলায় লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভলপমেন্ট এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান প্রকল্পের আওতায় ৪০ হাজার তরুণ-তরুণীকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।