পঞ্চগড়ে চিনিকল রক্ষার দাবীতে বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি প্রদান


কামরুল ইসলসাম কামু, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে চিনিকল রক্ষার দাবীতে বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি প্রদান
  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় চিনিকলের আখচাষী ও শ্রমিক -কর্মচারীরা তাদেরটিসহ দেশের ছয়টি চিনিকল চালুর দাবিতে স্বারকলিপি দিয়েছেন। সেইসাথে তারা ৫ দফা দাবীসহ স্বারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রদান করে।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে পঞ্চগড় চিনিকলের প্রধান ফটকের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর তারা জেলা প্রশাসককে স্বারকলিপি প্রদান করে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের চিনিকল গুলো বন্ধের প্রতিবাদে টানা ৯ দিন ধরে প্রতিবাদ ও  বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

স্বারকলিপিতে তারা বলেন ‘চিনিকল কখনো লোকসান হয়না। ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের সাথে আখচাষি ও শ্রমিক -কর্মচারির সম্পৃক্ততা নেই। তারা আরো দাবি করেন ‘এক কেজি চিনি উৎপাদন ব্যয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দেখানো হয় তা সম্পূর্ন অমূলক। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা,দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, ও মাথাভারি প্রশাসন সহ নানাবিধ কারনে চিনি শিল্পের ভঙ্গুর অবস্থা। 

স্বারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, মিয়ানমার থেকে উদ্বাস্তু ১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমানকে আশ্রয় দিয়ে তিনি মানবতার ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। বিশ্বে তার নাম ‘মানবতার জননী' হিসেব স্বীকৃতি পেল। তাই আমরা গর্বিত। বর্তমান চিনি শিল্পের চেয়ারম্যান ভুল তথ্য দিয়ে সরকারকে বিভ্রান্তিতে ফেলেছে। 

বক্তারা বলেছেন, অসাধু চিনি ব্যবসায়িরা প্রাইভেট চিনিকলে অস্বাস্ব্যকর চিনি উৎপাদন করে দেশের জনগনকে স্বাস্থ্য ঝূঁকিতে ফেলেছে। সেইসাথে, দেশের চিনিকলগুলোকে পর্যায়ক্রমে আধুনিকায়ন করে চালু রাখার দাবি জানান।

এসময়, পঞ্চগড় চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নবী হোসেনসহ নেতা-কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।