হেফাজতের তান্ডব : নারায়ণগঞ্জে আরও ১০ মামলা দায়ের
নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের হরতাল ও মাওলানা মামুনুল হকের ঘটনার জের ধরে হামলা, ভাঙচুর, আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের ঘটনায় আরও ১০ টি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ব্যাপারে ১৬টি মামলা করা হলো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ১৬ মামলায় শনিবার রাতে ও আজ রোববার বিকেল পর্যন্ত আরও ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ছয়টি মামলায় ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। নারায়ণগঞ্জের ষোল মামলায় আজ পর্যন্ত ৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
পৃথক ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানার পুলিশ, র্যাব, সাংবাদিক, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পরিবহন মালিকরা বাদি হয়ে এসব মামলা করেন। সোনারগাঁ থানায় সাতটি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নয়টি মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আসামিদের ফেসবুক পোস্ট, ভিডিও ফুটেজ ছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের দিন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ, যানবাহনে ভাঙচুর ও সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা ঘটে। সরকারি কাজে বাধা দেয়াসহ নানা অভিযোগে র্যাব ও পুলিশ বাদি হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ছয়টি মামলা করেন। হরতালের দিন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবহন মালিকরা একই থানায় আরও তিনটি মামলা করেন। এসব মামলায় এজাহারভূক্ত ছাড়াও কয়েক হাজার অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে এক নারীসহ আটকের জের ধরে হেফাজত কর্মীরা মোগরাপাড়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে। একই সময় ওই রিসোর্ট ও আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুর, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা করা হয়। এস এ টেলিভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি হাবিবুর রহমানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে নির্যাতনের মুখে মামুনুল হকের কাছে ক্ষমা চাওয়াতে বাধ্য করা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও সাংবাদিক বাদি হয়ে সোনারগাওঁ থানায় পৃথক সাতটি মামলা করেন। বেশীর ভাগ মামলায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়।
প্রকৌশল নিউজ/প্রতিনিধি