মুনিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি!


নিজস্ব প্রতিবেদক
মুনিয়ার আত্মহত্যার প্ররোচনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি!
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামের ওই তরুণী রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

সোমবার সন্ধ্যার পর গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। 

এ বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী  বলেন, মোসারাত জাহানের বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। মেয়েটির পরিবার কুমিল্লায় থাকে। এখানে ওই ফ্ল্যাটে তিনি একাই থাকতেন।

উপকমিশনার সুদীপ বলেন, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের পরিচয় ছিল। তিনি ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও তথ্য পেয়েছেন তাঁরা।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মোসারাত জাহান রোববার তাঁর বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তাঁর বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি।

তিনি বলেন,, দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে বোনের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে বাইরে থেকে ‘লক’ খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গুলশান থানার পুলিশ মোসারাতের লাশের সুরতহাল করছিল। 

পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোসারাতের ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে। আপাতত এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তারা।

পুলিশী তথ্য মতে জানা যায়, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলে বিরুদ্ধে মেয়েটির মামলা করেছেন মেয়েটির পরিবার। বাসার সিসিটিভি জব্দসহ অন্যান্য তদন্তের কাজ করছে পুলিশ। 

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলে সায়েম সোবহান আনভীর সাথে তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ফেসবুকের ছবি দেয়া নিয়ে তানভিরের সাথে মেয়ের কথা কাটাকাটি মনোমালিন্য হয়, মেয়েটি তার বোনকে ফোন দিয়ে বাসায় আসতে বলেছিল, বোন জানিয়েছে মেয়েটি বলেছে সে একটা বিপদের মধ্যে পড়েছে, তার বোন বাসায় এসে দেখে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে, পুরো বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করেছে।