গুলশানে ভাতিজির হাতে ফুপু খুন
রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে নিকিতা আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে বাসার দরজার লক খুলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিকিতা আক্তারের ভাতিজি জেসমিন আক্তারকে আটক করেছে গুলশান থানা পুলিশ।
গুলশান পুলিশ জানায়, বাসার শিলপাটা পুতা ও বটির আঘাতে তাকে হত্যা করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে যেকোনো সময়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাত দিকে গুলশান থানার ডিউটি অফিসার জানান, মরদেহ ঘটনাস্থলেই রয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নিকিতা আক্তারের স্বজনেরা জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিকিতা আক্তার ওই বাড়ির মালিক। গত রমজানে সবাই বাসা ছেড়ে গ্রামের বাড়ি চলে যায়। ঈদের পর শুধু নিকিতা ও জেসমিন বাসায় আসে। বেশ কয়েকদিন ধরেই তারা এখানে অবস্থান করছে। জেসমিনের ছোট বাচ্চাকে নিয়ে নিকিতার সাথে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। এর জের ধরে জেসমিন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নিজেই স্বজনদের জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে নিহতের স্বজনেরা পুলিশের সহায়তায় বাসার দরজার লক খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় নিকিতার রক্তাক্ত মরদেহ পরে থাকতে দেখা যায়। তার মাথা, মুখ ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে গত রাতেই (বুধবার দিবাগত রাত) হত্যা করা হয়েছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, স্বামী মুরাদকে নিয়ে নিহত নারী কালাচাঁদপুর এলাকায় নিজ বাসায় থাকতেন। তার ভাতিজি বাসায় বেড়াতে এসেছিল। কি কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হবে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস