গৃহকর্মী নির্যাতন : গৃহকর্ত্রীর মেয়ে তানজিলা কারাগারে


প্রকৌশল প্রতিবেদক:
গৃহকর্মী নির্যাতন : গৃহকর্ত্রীর মেয়ে তানজিলা কারাগারে
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরায় চুলায় বসানো পাতিল থেকে ভাতের গরম মাড় নিয়ে গৃহকর্মী নিয়াশার (১৮) পিঠ ঝলসে দেওয়ার মামলায় গৃহকর্ত্রীর মেয়ে তানজিলা রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তানজিলাকে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। ভুক্তভোগী নিয়াশা সিলেটের রুপনগর এলাকার আরিকুল ইসলামের মেয়ে।

এর আগে আজ তানজিলাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই কাঞ্চন রায়হান।

কারাগারে আটক রাখার আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘গত ৯ জুন দেড়টার দিকে তানজিলার মা অফিসে ছিল। গৃহকর্মী নিয়াশা বাসার সব কাজ করতেছিল। হঠাৎ তানজিলার কথিত মেয়ে সোহা (১০) নিয়াশার কাছে সাবানের গুঁড়া চায়। সাবানের গুড়া না দেওয়ায় তানজিলা তরকারি কাটার লোহার বটি দিয়ে নিয়াশার গলায় আঘাত করে এবং বলে আমার কিন্তু রাগ হচ্ছে। নিয়াশা তখন বলে সে কাজ করছে একটু পরে সাবানের গুড়া দেবে। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আসামি রাগান্বিত হয়ে চুলায় বসানো ফুটন্ত ভাতের পাতিলসহ পানি নিয়াশার গলা ও পিঠে ঢেলে দেয়। এতে তার ডান কাঁধের ওপরে এবং ঘাড়সহ পিঠের কিছু অংশ ঝলসে যায়।’

তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ব্যথায় কান্নাকাটি করতে থাকলে তানজিলা ভুক্তভোগী নিয়াশাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলে। ফলে সে ভয়ে কান্না বন্ধ করে। শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ায় নিয়াশা তানজিলাকে বলে ডাক্তারের কাছে নিতে। কিন্তু তানজিলা তার মাকে এ বিষয়ে জানালে নিয়াশাকে মেরে ফেলাসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতির হুমকি দেয়। পরে গতকাল শুক্রবার দুপুরে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে নিয়াশাকে উদ্ধার করা হয়।’

নিয়াশাকে উদ্ধারের পর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বিকেলে তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রেফার করে। মেয়েটির শরীরের পাঁচ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস