ডিএমপিতে তিন মাসে শ্রেষ্ঠ হলেন যাঁরা


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
ডিএমপিতে তিন মাসে শ্রেষ্ঠ হলেন যাঁরা
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্র্রিল ও মে মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে মঙ্গলবার।

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, আমাদের মূল দায়িত্ব অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অপরাধের শিকার কারা হচ্ছে, কখন হচ্ছে এবং কি কারণে হচ্ছে তার সঠিক কারণ নির্ণয় করা। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। ঢাকা শহরের অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে আরো নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, গামছা পার্টি, সালাম পার্টি ও টানা পার্টির অপরাধ নিরসনে আমাদের আরো সচেতন থাকতে হবে। সন্মানিত নগরবাসিকে সচেতন করার পাশাপাশি  থানার মোবাইল টিম ও চেক পোস্ট ডিউটি বৃদ্ধি করতে হবে।

মে মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের সহকারি পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মিরপুর বিভাগের সহকারি পুলিশ কমিশনার মো. শাহ আলম।

ডিএমপির সকল থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে। পুলিশ পরিদর্শক অপারেশনদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন ভাষানটেক থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. খোরশেদ আলম। শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার মো. শরীফুল হাসান । শ্রেষ্ঠ এএসআই  নির্বাচিত হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার  মো. মোবারক হোসেন। 

৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মাহবুবুল হক সজিব, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, গুলশান জোনাল টিম, ডিবি- গুলশান। চোরাই গাড়ী উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মধুসূদন দাস, সহকারী পুলিশ কমিশনার, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ীচুরি প্রতিরোধ টিম, ডিবি-লালবাগ। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মাহবুবুল হক সজিব, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, গুলশান জোনাল টিম, ডিবি- গুলশান । 

৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস, কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ, মশিউর রহমান, রামপুরা ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে সার্জেন্ট আর এ রোকন, উত্তরা-এয়ারপোর্ট ট্রাফিক জোন, ট্রাফিক উত্তরা বিভাগ ও সার্জেন্ট সামসুদ্দীন সরকার, দারুসসালাম ট্রাফিক জোন, ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ।

এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে প্রথম হয়েছে  মিরপুর বিভাগ এবং মার্চ মাসে প্রথম হয়েছে ওয়ারী বিভাগ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের সহকারি পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মিরপুর বিভাগের সহকারি পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহ আলম । ডিএমপির সকল থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে যথাক্রমে যাত্রাবাড়ী থানা ও মোহাম্মপুর থানা । পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন যথাক্রমে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহীনুর রহমান, ভাষানটেক থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মিরপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আক্তার হোসেন। পুলিশ পরিদর্শক অপারেশনদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন যথাক্রমে বাড্ডা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইয়াসীন গাজী, যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আয়ান মাহমুদ ও কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন)  জাকির হোসাইন। শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ পাভেল মিয়া, পল্লবী থানার এসআই মোঃ শরীফুল হাসান ও যাত্রাবড়ী থানার এসআই মোঃ নওশের আলী। শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে মিরপুর মডেল থানার এএসআই মোঃ মোবারক হোসেন ও লালবাগ থানার এএসআই বাবুল হোসেন।

গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির ৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে যথাক্রমে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ (২য় বার), গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ । শ্রেষ্ঠ টিম লিডার যথাক্রমে মোঃ সাইফূল ইসলাম, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, মিরপুর জোনাল টিম, ডিবি- মিরপুর, মোঃ সাইফুর রহমান আজাদ, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, কোতয়ালী জোনাল টিম, ডিবি লালবাগ বিভাগ ।  চোরাই গাড়ী উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার যথাক্রমে গোলাম সাকলায়েন, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, গুলশান জোনাল টিম, আশরাফুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ কমিশনার, সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ী চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম ও মজীব আহম্মেদ পাটোয়ারী, সহকারী পুলিশ কমিশনার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম । মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার যথাক্রমে মোঃ সাইফূল ইসলাম, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, মিরপুর জোনাল টিম মাহবুবুল হক সজিব, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, গুলশান জোনাল টিম, ডিবি- গুলশান, মোঃ সাইফুর রহমান আজাদ, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, কোতয়ালী জোনাল টিম ।

গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির ৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার যথাক্রমে বিমান কুমার দাস, কোতয়ালী ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর যথাক্রমে গোলাম মাওলা কবির, ওয়ারী ট্রাফিক জোন, একেএম মঞ্জুরুল আলম, কোতয়ালী ট্রাফিক জোন, মোঃ মশিউর রহমান, রামপুরা ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে যথাক্রমে সার্জেন্ট আঃ কাদের, মোহাম্মদপুর ট্রাফিক জোন ও মোহাম্মদ শামীম আহম্মেদ শাহবাগ-ট্রাফিক জোন, ট্রাফিক রমনা বিভাগ, মোঃ মামুন মিনা, যাত্রাবড়ী ট্রাফিক জোন ও শফিকুর রহমান, শাহবাগ-ট্রাফিক জোন, সামসুদ্দীন সরকার, দারুসসালাম-ট্রাফিক জোন ও টিএসআই আবুল হাসনাত, ডেমরা-ট্রাফিক জোন।

এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস