বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিক্ষোভ, বাড়ি ফিরতে চায় তারা


প্রকৌশল প্রতিবেদক:
বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিক্ষোভ, বাড়ি ফিরতে চায় তারা
  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের মধ্যে কানেক্টিং ফ্লাইট না পেয়ে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যাত্রীরা। যাত্রীদের অধিকাংশই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুবাই এবং কাতার ফ্লাইটে সকালে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে নিজ নিজ গন্তব্য স্থলে পৌছাতে পারছে না।

বৃহস্পতিবার ভোরে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রবেশ করে তারা বিক্ষোভ করেন। এসময় তাদের সঙ্গে বিমানবন্দরে কর্মরত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, কাতারের দোহা থেকে ভোর সাড়ে ৬টায় এবং সকাল সাড়ে ৯টায় সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে বিমান বাংলাদেশের পৃথক দুটি ফ্লাইট ঢাকায় আসে। এই দুই ফ্লাইটে প্রায় দুইশ থেকে আড়াইশ’র মতো যাত্রী চট্টগ্রাম ও সিলেটের কানেক্টিং ফ্লাইটের টিকিট নিয়ে আসেন। বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করার কারণে সারাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। একারণে সেসব কানেক্টিং ফ্লাইটের যাত্রীরা আর তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বিমানের সেসব যাত্রী বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করছেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিমানের সৌদি ফ্লাইটের একজন যাত্রী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, আমরা সৌদি থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রামের টিকিট কেটে এসেছিলাম। আমরা সব টাকা পরিশোধ করেই এসেছি। আমাদের বলা হয়েছিল লকডাউন হলেও বিশেষ ফ্লাইটে করে আমাদের চট্টগ্রাম পাঠানো হবে। তবে এখানে এসে শুনলাম ফ্লাইট যাচ্ছে না। এখন আমরা কীভাবে বাড়ি ফিরব?

বিমানবন্দরে উপস্থিত বিমান বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি বলেন, বিমানের পক্ষ থেকে এসব যাত্রীদের বহনের জন্য ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার রুটে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আমাদের সেই অনুমতি দেয়নি। তাই আপাতত যাত্রীদের কানেক্টিং ফ্লাইট দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘ট্রানজিট প্যাসেঞ্জারদের টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু সিভিল এভিয়েশনের বিধিনিষেধের কারণে তারা যেতে পারছে না। একারণে যাত্রীদের মধ্যে একটু উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এয়ারলাইনসের লোকজনও আছে। এপিবিএনের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’

এর আগে বুধবার জারি করা এক সার্কুলারে ১ জুলাই থেকে জারি করা সরকারি বিধিনিষেধের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল ৭ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করে বেবিচক।

এদিন বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী এম জিয়া উল কবিরের জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই ভোর ছয়টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। তবে ত্রাণ-সাহায্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফ্লাইটগুলো অনুমতি নিয়ে চলতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস