মডেল পিয়াসা ও মৌ 'রাতের রানী' : হারুন-অর-রশীদ


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
মডেল পিয়াসা ও মৌ 'রাতের রানী' : হারুন-অর-রশীদ
  • Font increase
  • Font Decrease

মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে মদ ও ইয়াবা খাইয়ে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল করতেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  পিয়াসা ও  মৌ  ছিলেন সংঘবদ্ধ ব্ল্যাকমেইল চক্রের সদস্য। 

গোয়েন্দারা বলছে, তারা (পিয়াসা ও মৌ) দিনের বেলায় ঘুমাতেন এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করতেন। বিশেষ করে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন। বাসায় এলে পার্টির সুযোগে তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও তুলে রাখতেন। ব্ল্যাকমেইল করতেন ধনীর দুলালদের।

রবিবার রাতে রাজধানীর বারিধারায় পিয়াসার বিলাসবহুল বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল মদ, ইয়াবা ও সিসা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। রাত দশটা থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত। রাতেই ডিবির আরেকটি দল মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মডেল মৌ আক্তারকে আটক করে। এসময় তার বাড়িতেও মদের বারের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকেও জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ। এই ঘটনায় মডেল পিয়াসা এবং মডেল মৌকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

পরে রাত দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) শাখার যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।

তিনি বলেন, 'পিয়াসা এবং মৌ সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়েই তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুইজনের বাড়িতেই বিদেশি মদ, ইয়াবা, সিসা পাওয়া যায়। মৌ এর বাড়িতে মদের বার ছিল।'

হারুন বলেন, 'আটক দুই মডেল হচ্ছেন রাতের রানী। তারা দিনের বেলায় ঘুমাতেন এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করতেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় এলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও তুলে রাখতেন। পরবর্তীতে সেসব ভিডিও এবং ছবি ভিক্টিমদের পরিবারকে পাঠাবে বলে ব্ল্যাকমেইল করতেন এবং টাকা হাতিয়ে নিতেন।'

আটক দুইজনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে যুগ্ম-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, 'তাদের বাসায় মাদক পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও গুলশান থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক মামলা হবে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ থাকায় আলাদা মামলা হবে। এসব মামলায় আমরা তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।'

প্রকৌশলনিউজ/সু