ক্রাইম সিরিয়াল দেখে হত্যাকাণ্ড, রহস্য উদঘাটন করলো র‌্যাব


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
ক্রাইম সিরিয়াল দেখে হত্যাকাণ্ড, রহস্য উদঘাটন করলো র‌্যাব
  • Font increase
  • Font Decrease

টেলিভিশনে ক্রাইম সিরিয়াল দেখে হত্যাকাণ্ড সাজানো এখন বেড়েই চলছে। এমনই একটি ঘটনা উদঘাটন ও একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে বন্ধুকে হত্যার পর মরদেহ গুম করা হয়। বিভিন্ন অপরাধমূলক সিরিয়াল দেখে অভিযুক্তরা পানির ড্রামে মরদেহটি গুম করে রাখে। ঘটনার পর গোয়েন্দা নজরদারি ও মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে র‌্যাব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

২৮ আগস্ট ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার একটি পাঁচতলা ভবনের গোসলখানা থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ১৪ আগস্ট থেকে নিহত আনোয়ারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা হয়। ক্লুলেস এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে মঙ্গলবার ভোরে মানিকগঞ্জ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন সাব্বির হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও সুরুজ আলী।

মঙ্গলবার বিকালে কাওরানবাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক আব্দুল মোত্তাকীম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আশুলিয়ার একটি গার্মেন্টেস-এ চাকরি করত সাব্বির হোসেন ও তার স্ত্রীর। সেখানেই তারা একটি বাসায় বসবাস করতেন। সেই বাড়িতেই সাবলেট হিসেবে ভাড়া থাকত সাব্বিরের বন্ধু আনোয়ার হোসেন। বসবাসের সূত্র ধরে আনোয়ারের সঙ্গে সাব্বিরের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এমন সন্দেহ করে সাব্বির। পরে আনোয়ারকে হত্যার পরিকল্পনা করে সাব্বির। বন্ধুদের সহযোগীতায় শ্বাসরোধে হত্যার পর আনোয়ারের মরদেহ ফ্ল্যাটের বাথরুমের ড্রামে রেখে দেয়। এরপর আশুলিয়া থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।’

লে. কর্নেল আব্দুল মোত্তাকীম বলেন, ‘বিদেশি অপরাধমূলক সিরিয়াল দেখে তারা মরদেহ গুম করার ধারণা নেয়। এরপর তা গুম করা হয়। তবে মরদেহ পচে গন্ধ বের হওয়ার খবরে পুলিশ ফ্ল্যাট থেকে তা উদ্ধার করে।’

কীভাবে আসামিদের শনাক্ত করা হলো জানতে চাইলে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গোয়েন্দা নজরদারি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে র‌্যাব আসামিদের শনাক্ত করে। তারা র‌্যাবের কাছে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছে।’

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস