সেনাবাহিনীতে চাকরি দেন দুই বন্ধু!
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে সেনাবাহিনীর মেস ওয়েটার ও সৈনিক পদে চাকরিয়ে দেয়ার কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাজধানীর সূত্রাপুর ও গাজীপুর জেলার শ্রীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রতারক চক্রের মূলহোতা কামরুজ্জামান ও নাজির হোসেন।
সোমবার র্যাব-৩ এর সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রাণী দাস অভিনব প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দুই বন্ধুর অভিনব প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারে র্যাব। পরে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় প্রতারক চক্রের মূলহোতা কামরুজ্জামানকে ও তার বন্ধু নাজির হোসেনকে রাজধানীর সুত্রাপর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার প্রতারকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানিয়েছে, তারা দুজন বন্ধু। গ্রেপ্তার নাজির একটি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়। সে কৌশলে চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর তাদের বিশ্বাস অর্জনের পর তার বন্ধু ও চক্রের মূলহোতা কামরুজ্জামানকে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। কামরুজ্জামান চাকরি প্রত্যাশীদের বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে জানায়, ইতিপূর্বে সে বহু লোককে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি দিয়েছে। তবে চাকরি পেতে হলে সেনাবাহিনীর নিয়োগ বোর্ডে যারা থাকে তাদেরকে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে।
এভাবে প্রথমে সে একটি চুক্তিনামা করে পাঁচ লাখ নেয়। তারপর চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র গ্রহণ করে। এরপর প্রার্থীকে জানানো হয় যে, আপনাকে একটি পদের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তবে নিয়োগপত্র পেতে হলে আরও দুই লাখ টাকা দিতে হবে। এভাবে সে ধাপে ধাপে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো। টাকা নেওয়ার একপর্যায়ে চাকরি প্রতাশী ব্যক্তিকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিতো।
এই কর্মকর্তা আরো জানান, এভাবে চাকরির নামে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পেয়েছে র্যাব। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।