ইভ্যালির সিইও-চেয়ারম্যান গ্রেফতার
বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে হেফাজতে নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর থেকে রাসেলের মোহাম্মদপুরের নিলয় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংয়ের বাসায় (হাউজ ৫/৫এ, স্যার সৈয়দ রোড) অভিযান শেষে তাদের র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সূত্র জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ইভ্যালি সিইও রাসেলের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযোগের বিষয়ে সিইও এবং তার স্ত্রী ইভ্যালি চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে সন্তোষজনক তথ্য না পেলে তাদের আটক করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন আরিফ বাকের নামের একজন গ্রাহক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের গত ২৯ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে সমাধান পাওয়া যায়নি।
অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে খারাপ ব্যবহার করেছে। সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগে বলা হয়।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আরার আদালতে ইভ্যালির বিরুদ্ধে আরেকটি প্রতারণা ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন একজন গ্রাহক। মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের নাম উল্লেখ করা হয়। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বাসিন্দা মো. রাজ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
বহুল আলোচিত-সমালোচিত এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে দেনার পরিমাণ ৪০৩ কোটি টাকা। আর ইভ্যালির চলতি সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। ৩৩৮ কোটি টাকাই কোম্পানির কাছে নেই।
প্রকৌশলনিউজ/সু