প্রধানমন্ত্রীর সহকারী পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গিয়াসের স্বীকারোক্তি


প্রকৌশল প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গিয়াসের স্বীকারোক্তি
  • Font increase
  • Font Decrease

পরিচয় দিতেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, করতেন চাঁদাবাজি।

অভিযোগের পর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন গিয়াস উদ্দিন কবির। ছিলেন রিমান্ডে। রিমান্ডে থাকাবস্থায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালে গত ১৫ জুলাই গিয়াস উদ্দিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. আসাদুজ্জামান। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। শনিবার আদালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১১ জুলাই পল্টন থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ওই দিন সকালে কুমিল্লা থেকে গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন।

সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত কবির নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ও মোবাইল নম্বরে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা দাবি করত। সে এই পরিচয়ে বন ও পরিবেশমন্ত্রী, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকেও চাঁদা দাবি করেছিল। এছাড়া, কবির বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া ও  লোভনীয় পোস্টিংয়ের কথা বলেও টাকা আদায় করে। কুমিল্লা জেলার আইনজীবী  কামাল হোসেনের কাছ থেকে একইভাবে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় সে। পরে তিনি অভিযোগ করলে কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস