বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল-ভাস্কর্যে ‘সশস্ত্র পুলিশ টহল’ জানিয়ে প্রতিবেদন
বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে সার্বক্ষণিক সশস্ত্র পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। উচ্চ আদালতের এক নির্দেশের পর পুলিশের মহাপরিদর্শকের পক্ষে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারাদেশে নির্মিত ও নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল-ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে সার্বক্ষণিক সশস্ত্র পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মিত ও নির্মাণাধীন ম্যুরাল-ভাস্কর্যের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় সশস্ত্র পুলিশের সার্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি অব্যাহত। গোয়েন্দা নজরদারি ও সিসিটিভির মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর ১২শ ১টি ম্যুরাল, ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। আর নির্মাণাধীন আরও ১৯টি বলে উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী বশির আহমেদ।
পরে এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, মুজিব বর্ষের মধ্যে জেলা ও উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপনের যে নির্দেশনা ছিল তার অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ২১ জানুয়ারি আরেকটি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর এক আবেদনে ম্যুরাল ও ভাস্কর্যের নিরাপত্তা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে ব্যবস্থা নিয়ে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক বশির আহমেদ এ রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ৭ মার্চকে কেন ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
এছাড়াও একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্থানে যে মঞ্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল যে স্থানে সেই স্থানে মঞ্চ পুনর্নির্মাণ কেন করা হবে না।
৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘স্পিচ মোডের’ (তর্জনি উঁচিয়ে ভাষণের সময়কার ভঙ্গি) ভাস্কর্য নির্মাণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
সে রুলের শুনানিতে রিট আবেদনকারীর সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি মুজিববর্ষের মধ্যেই দেশের সব জেলা-উপজেলায় হেড কোয়ার্টার্সে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের নির্দেশসহ কয়েকটি নির্দেশনা দেন। এর মধ্যে ৭ মার্চকে দিবস ঘোষণার বিষয়টি গেজেটে প্রকাশ করা হয়।