কাঠগড়ায় কাঁদলেন পরীমণি
চিত্রনায়িকা পরীমণিকে মাদক মামলায় আরও দুইদিনের রিমান্ডে নিয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি। আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় কেঁদে ফেলেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হয়ে যাবার সময় চিৎকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস রিমান্ডের এই আদেশ দেন। চারদিনের রিমান্ড শেষে এ দিন আদালতে হাজির করে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ফের ৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন৷ তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুরও এই মামলায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আদালতে শুনানির সময় পরীমণি কাঁদতে থাকেন। মিনিট পাঁচেক ধরে তিনি কাঁদতে থাকেন। আদালত থেকে বের হওয়ার পর পরীমণি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা শতভাগ মিথ্যা। সাংবাদিক, আপনারা কী করছেন?’
রিমান্ড শুনানি চলাকালে পরীমণির আইনজীবী মজিবুর রহমান দাবি করেন, পরীমণি গ্রেপ্তার হওয়ার পর যে পোশাক পরে ছিলেন, আজও সেই পোশাক পরে আছেন। তিনি তাঁর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার বা কথা বলার কোনো সুযোগ পাননি। এটি একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী।
গত ৪ আগস্ট বিকেলে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদসহ অন্যান্য মাদক উদ্ধার করা হয়। ওইদিন রাত সোয়া আটটার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমণিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযানের প্রথম দিকে পরীমণি র্যাবকে সহযোগিতা করেননি। পরে তার ঘর তল্লাশি করে ফ্ল্যাটের কেবিনেট থেকে ১৮.৫ লিটার বিদেশি মদসহ দুইটি গ্ল্যানলিভেট, একটি গ্ল্যানফিডিচ, চার গ্রাম আইস, এক স্লট এলএসডি এবং একটি পাইপ উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদের বিরুদ্ধে র্যাব -১ এর সিপিও মজিবর রহমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পরীমণিকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।