কেন বিবাহিত মেয়েদের টার্গেট করতেন সাদ্দাম হোসেন
এ যেন রুপ কথাকেও হার মানাবে! প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বানোয়াট কাবিন করে এক সন্তানের জননীকে নিজ জিম্মায় রেখে দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদাহ্ গ্রামের খালেকের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে।
একটি সূত্র জানায়, সাদ্দাম হোসেনের টার্গেট বিবাহিত মেয়েদের অর্থ ও শরীর। তাদের শরীর ভোগ করার পর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেইল করে তাদের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করে সে। ইতিপূর্বে ঢাকাতেও এক বিবাহিত মেয়ের থেকে একই পন্থায় টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয় এই সাদ্দাম।
সম্প্রতি গত সোমবার ১১ জানুয়ারি সাদ্দাম কুষ্টিয়া চৌড়হাস এলাকার এক সন্তানের জননীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিয়ে আসে তার নিজ বাড়ি বোয়ালদাহ গ্রামে। ৫ দিন সেই নারীকে তার নিজ বাসায় রাখার পর গত শুক্রবার ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে নির্যাতন করে বের করে দেয়। মেয়েটি অভিযোগ করেন তাকে বাড়িতে হত্যা করে গুম করার চেষ্টা করছিল সাদ্দাম। কৌশলে সে হরিপুর এলাকার তার এক আত্মীয়ের বাসায় পালিয়ে গিয়ে এক সাংবাদিককে ফোন করেন।
ওই নারীর ফোন পেয়ে সাদ্দামের বাড়িতে যায় সাংবাদিক টিম। সেখানে অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা চালায় সাদ্দামের পরিবার।
সাদ্দামের বড় ভাই বাদশা জানান, সাদ্দাম তাকে জানিয়েছিল মেয়েটা বড়লোক। আমি ওকে বিয়ে করব। তবে মেয়েটা আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। সে যেই কাবিন আমাদের দেখিয়েছেন সেই কাবিনে মেয়ের নামের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রে নামের মিল নেই। সে নিজেকে অবিবাহিত বলে কাবিনে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে সেই নারী জানান, প্রায় বছরখানেক ধরে সাদ্দামের সাথে তার সম্পর্ক। এর আগে সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুষ্টিয়া শহর ও কুমারখালীর বিভিন্ন স্থানে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সাদ্দামকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে আমাকে কুমারখালী তুহিন কাজীর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আমার মূল পরিচয় গোপন করে সাজানো নাম ও ঠিকানা দিয়ে কাবিননামা তৈরি করে এবং সেখানে আমাকে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
এরপর থেকে প্রতিনিয়ত সে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উছিলায় বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো। এখন সাদ্দামের বাড়ির লোক বলছে এই কাবিন ঠিক নেই। সাদ্দাম আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে। ইতিপূর্বে আমি সাদ্দাম কে আমার গহনা বিক্রয় করে ৪২ হাজার টাকা দিয়েছি। শুধু তাই নয় আমি লোন করে দুই লক্ষ টাকা সাদ্দামকে দিয়েছি। এখন বুঝতে পারছি সাদ্দাম আমার দেহ এবং টাকার জন্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
এবিষয়ে সাদ্দামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সে ফোন রিসিভ করে নি। এমনকি তার বাড়িতে গেলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ওই নারীর পূর্বের স্বামী জানান, তার সংসারে ১১ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সাদ্দাম তার স্ত্রীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গেছে। সে আমাকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে কিভাবে বিয়ে করে? আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার দাবি করছি।