সচেতনতা বৃদ্ধি ও সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধ করতে হবে


প্রকৌশল প্রতিবেদক:
সচেতনতা বৃদ্ধি ও সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধ করতে হবে
  • Font increase
  • Font Decrease

‘বিশ্বে শিশু মৃত্যুর একটি অন্যতম প্রধান কারণ পানিতে ডুবে শিশুদের মৃত্যু। উন্নত দেশগুলো এই অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারলেও উন্নয়নশীল দেশেগুলোতে উচ্চ হারে পানিতে ডুবে শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে। বাংলাদেশেও প্রতি বছর অনেক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। যা শিশুর সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় বাধা। প্রশিক্ষণ প্রদান, সচেতনতা বৃদ্ধি, সন্মিলিত উদ্যোগ ও সঠিক কর্মপরিকিল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

এসময় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশের প্রচেষ্ঠায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধবিষয়ক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। গৃহীত প্রস্তাবে পানিতে ডুবে মৃত্যুকে একটি নিরব মহামারী হিসেব স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরের ২৫ জুলাই বিশ্বব্যাপী পানিতে ডুবে মৃত্যুরোধ দিবস পালিত হবে। জাতিসংঘের এ প্রস্তাব পাসের পর এই শিশু মৃত্যু রোধে, বাংলাদেশের দায়িত্বও অনেক বেড়ে গেছে।

মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে গণস্বাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ’ শীর্ষক জাতীয় মতবিনিময় (ওয়েবনিয়ারে) প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সাবেক উপদেষ্টা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরীর সভাপতিত্বে ওয়েবনিয়ারে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ফজলে হাসান বাদশা, ড. মনজুর আহমদ, সেলিনা হোসেন এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ ঘোষণার ঘোষণার ১৫ বছর পূর্বে জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রনয়ণ করেন, শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুর উন্নয়ন, সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

সভায় দেওয়া তথ্যা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘এখানে উপস্থাপন করা হলো, দেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। যদি এই তথ্য সঠিক হয়ে থাকে, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। আমি মনে করি, সকলের প্রচেষ্ঠা ও সতেনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধ করা সম্ভব’।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন এ মন্ত্রণালয় শিশুদের সুরক্ষায় সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করেছে। শিশুর জীবন সুরক্ষায় সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে ৩ লাখ শিশুকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং আরো ২ লাখ ৮০ হাজার শিশুর প্রশিক্ষন চলমান আছে। শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ বিষয়ে একটি প্রকল্প প্রণয়নের কাজও চলমান আছে।

সভাপতির বক্তব্যে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, ‘পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা আতঙ্কজনক। তবে এ সমস্যা নিয়ে তেমন আলোচনা হয়না। স্থানীয় কমিউনিটি ও বেসরকারি সংস্থাকে সাথে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশু মৃত্যু রোধ করতে হবে’।

অনুষ্ঠানের সহযোগী সংগঠন হিসেবে আরো ছিল বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্ক, সিআইপিআরবি ও যুক্তরাস্ট্রের দাতা সংস্থা গ্লোবাল হেলথ ইনকিউবেটর।   

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস