লটারীতে স্কুল শিক্ষার্থীদের ভর্তিঃ শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে এবার মাধ্যমিক স্তরের প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি প্রকৃয়া লটারির মাধ্যমে করা হবে।
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে বুধবার (২৫ নভেম্বর) এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকসহ কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
যোগ্যতার চাইতে ভাগ্যকে প্রাধ্যান্য দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন, আমরা বাধ্য হয়েই এ পদ্ধতি বেছে নিয়ছি। স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে প্রতি শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাজধানীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ক্যাচমেন্ট কোটা ৪০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ক্লাস্টারভিত্তিক লটারিতে ঢাকার শিক্ষার্থীরা একটির জায়গায় পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাই করার সুযোগ পাবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
প্রতিবছর প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে এবং দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর জেএসসি-জেডিসির ফলের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। করোনার কারণে অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করায় এবার সেই সুযোগ নেই উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা তিনটি বিকল্প খতিয়ে দেখেছি। এর একটি হচ্ছে স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া। কিন্তু শিক্ষার্থীদের স্কুলে এনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না। এমসিকিউ পদ্ধতির কথা চিন্তা করেছি, কিন্তু তাতেও শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে হতো। অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নিলে সবার জন্য নিরাপদ হলেও সব শিক্ষার্থীর অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হবে, তাই এটি যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। সবার ইন্টারনেট অ্যাকসেস নেই, আবার সংযোগেও সমস্যা আছে।
আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সামগ্রিক প্রক্রিয়া জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।