আবারো বোমা ফাটালেন পরীমণি
১৩ জুন সন্ধ্যায় ফেসবুক পোস্টে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি অভিযোগ করেন, তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন পরীমণি। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়াসহ সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়, যার রেশ এখনো কাটেনি। এবার নিজের ফেসবুকে আরও একটি বিস্ফোরক পোস শেয়ার করেছেন পরীমণি।
পরীমণি তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন ‘সরি’। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্মৃতি পরীমণি নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়ে সেটি তার ভেরিফায়েড পেজ থেকে শেয়ার করেন। তিনি একজন পরিচালকের উদ্দেশ্য করে এ স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন। তবে তার নাম উল্লেখ করেননি।
ঢালিউড নায়িকার এ স্ট্যাটাস পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘সমস্যা হইলো...
আমি মাইয়া লোক কিন্তু লুতুপুতু মাইয়া টাইপ আচরন করি নাই আপনার সাথে, ঘইটা গেল সমস্যা!
চিকন সুরে ভাইয়া ভাইয়া করিনাই আপনারে, বিশাল সমস্যা!
কাজের ফাঁকে আলগা রসের পিরিতের আলাপ করি নাই, ব্যাস এইতো সমস্যা!
কাজে মত প্রকাশের অধিকার দেখাইছি, তাতেই সমস্যা!
আপানার চোক্ষের সামনে আরো পাঁচ-দশ জনের মতো না হারাইয়া যাইয়া দিন দিন ক্যারিযার বানাইতেছি, নাম কামাইতেছি..এইখানে হইয়া গেল সমস্যা!
আপনি পরিচালক হইয়া ৫ বছরে একটা সিনেমা বানান আর আমার এক বছরে পাঁচ সিনেমা রিলিজ হয়, আমার তো প্রচুর সমস্যা!
আপনারে প্রযোজক বাগাইতে দিলামনা, ওরে সমস্যা!
শুটিং সেটে উহ আহ করা দামরা ধইরা নগদে থাপড়াই, চরম সমস্যা!
কোনোরকম চামচামি না নিয়া আপনার মুখের উপরে তিতা সত্য বইলা দেই, আমারই তো সমস্যা!
তারপরতো বিড়ি খাওয়া, মদ খাওয়া, প্রেম করা, বিদেশে ইচ্ছা মত ঘুরতে যাওয়া, শুয়োরের বাচ্চা-বালছাল বইলা গালিটালি দেওয়া, পিরিয়ড নিয়া কথা বলা এইগুলাতো আছেই!
পাইছেন কই এইগুলা? আমিই তো দিছি।
আপনাদের মন ভরে না কেন বলেন তো!?
টুপ কইরা কথায় কথায় চরিত্র হাতাইতে আসেন! বাসার মধ্যে মদের খালি বোতলের শোপিস দেইখা চরিত্র বুইঝা ফেলেন কেমনে বলেনতো!? বাসায় যে জায়নামাজ,কোরআন, নামাজের ঘর আছে সেইটা কেন দেখতে পাইলেন না আপনে!?
আহারে একটু জিরান এইবার। ক্ষমা দেন। অন্যায়কে অন্যায় বলতে শিখেন! অপরাধীকে অপরাধী বলতে শিখেন। একটা ন্যায়ের জন্যে লড়াইয়ের সাথে থাকেন। না পারলে এইবার অন্তত নিজের ব্যাক্তিগত হিংসাত্মক আক্রমণ কইরেন না প্লিজ।
এই লড়াই শুধু যে আমার একার না এইটা বোঝার সু-জ্ঞান উদয় হোক সবার।’
গত ১৩ জুন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন অভিনেত্রী পরীমণি। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে পর দিনই সাভার থানায় শুধু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন তিনি। ১৪ জুন উত্তরার একটি বাসা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযুক্ত নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে মাদকসহ গ্রেফতার করে।
অন্যদিকে রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে, বোট ক্লাবের ঘটনার আগে পরী তাদের ক্লাবে অসদাচরণ ও ভাঙচুর করেছেন। এর পর বনানী ক্লাবে এক তারকা দম্পতির অনুষ্ঠানেও ভাংচুরের অভিযোগ ওঠে পরীর বিরুদ্ধে।
এর পর বেশ কয়েকটি ভিডিওতে পরীমণি বেপরোয়া জীবন উঠে আসে।
এসব বিষয়ে পরীমণি গণমাধ্যমকে বলেছেন- ‘কয়েক সেকেন্ডের বিভ্রান্তিকর অস্পষ্ট ক্লিপ নয়, আমি পুরো ভিডিওটি চাই। শুরু থেকেই বলে আসছি, ক্লাবের ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করার জন্য। যদিও কয়েক সেকেন্ড পাওয়া যায়, তা হলে নিশ্চয়ই পুরো ফুটেজই আছে। আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করে আবারও বলছি— দয়া করে পুরো ফুটেজ প্রকাশ করুন। সবাই সত্যটা জানুক কী ঘটেছে সেই রাতে।’
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস