গ্লোব বায়োটেকের টিকার ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের’ আবেদন
গ্লোব বায়োটেকের তৈরি ‘বঙ্গভ্যাক্স’ করোনাভেইরাসের টিকা পরীক্ষামূলকভাবে মানব দেহে প্রয়োগ বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আবেদন করেছে সিআরও (ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অরগানাইজেশন) লিমিটেড। গ্লোব বায়োটেকের হয়ে সিআরও লিমিটেড এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কাজটি করবে। মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্সের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের এই গবেষণায় কাজ করবেন ৫৭ জনের একটি দল।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় গ্লোব বায়োটেকের পক্ষে সিআরও লিমিটেডের পরিচালনাকারী দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)এ প্রায় ১০ হাজার পৃষ্ঠার এই আবেদন জমা দেন।
বিএমআরস’র একজন সহকারী পরিচালক রিসার্চ প্রটোকল জমা নেন। রিসার্চ প্রটোকল জমা দেওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক সিতেশ চন্দ্র বাছাড়, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া গ্লোব বায়োটেকের কয়েকজন গবেষক ও কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব গণমাধ্যমকে বলেন, গ্লোবের টিকাটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে। সেই জায়গা থেকে আমরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রটোকল তৈরি করেছি।
বিএমআরসি’র ন্যাশনাল রিসার্চ ইথিকস কমিটি এখন আবেদনটি বিবেচনা করবে। বিএমআরসি নীতিগত সম্মতি দিলে তা যাবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে। সেখানকার ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অ্যাডভাইজারি কমিটি তখন অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
সিআরও লিমিটেডের পরিচালনাকারী দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব আরও বলেন, আবেদনে একসঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়ালের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। ডিজিডিএ অনুমোদন দিলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করতে পারব। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর সর্বোচ্চ ৭দিনের মধ্যে আমরা কাজ শুরু করব, আমাদের সে প্রস্তুতি আছে। শতাধিক সেচ্ছাসেবকের ওপর এ টিকা প্রয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।