করোনায় মৃত্যু আবারও বাড়ছে
বিশ্বেজুড়ে করোনাভাইরাসের মহামারী আবার মহা সংকট আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশও এর ব্যাতিক্রম নয়। দেশে গত কয়েক মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কম থাকলেও গত কয়েকদিনে আবার বেড়েছে। বিশেষ করে, করোনা দেশে শনাক্তের ২৫৯তম দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮ জনে গিয়ে ঠেকেছে। গতকাল যা ছিল ২৮ জনে। সেই সাথে শনাক্তের হার বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। যা গতকালের চেয়ে দশমিক ২৪ শতাংশ বেশী। আজ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬০ জন। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৬ জন।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, নতুন করে ১৩ হাজার ৬৬৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮৭০টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট ২৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় নতুন করে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ২ হাজার ৬০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৪১ জন। মোট পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
রোববার আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৮ জন। এদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও ১০ জন নারী। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৩৮৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ।
মৃতদের মধ্যে সবাই সপাতালে মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ৪ হাজার ৯০৯ জন মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং ১ হাজার ৪৭৯ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। তবে এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৭৬ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৩ লাখ ৬২ হাজার ৪২৮ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ০২ শতাংশ ।
বিভাগীয় তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় মৃত ৩৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ জন, রাজশাহী বিভাগে ১ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে ১ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন রয়েছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, নতুন করে করোনায় মৃত ৩৮ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বয়সী ১ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ৪ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৯ জন রয়েছেন।
গতবছর চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ৮৫ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৩ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪ কোটি ৫ লাখের বেশি।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল।