গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্ষতি করেছে সরকার : জাফরুল্লাহ


প্রকৌশল প্রতিবেদক :
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ক্ষতি করেছে সরকার : জাফরুল্লাহ
  • Font increase
  • Font Decrease

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান মহামারি মোকাবিলা করতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এগিয়ে এলেও সরকার আমাদের বারোটা বাজিয়েছে। বিশ্বব্যাপী ব্যাপকহারে করোনা টেস্টের পরামর্শ দেয়া হলেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি কিট অনুমোদন দেয়া হয়নি। এ জন্য ১০ কোটি টাকা গচ্চা গেছে।

বৃহস্পতিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আয়োজিত নাগরিক সমাজের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার অযৌক্তিক ভ্যাট-ট্যাক্স ধার্য করার কারণে হাসপাতালে আইসিইউ ও অক্সিজেন ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইসিইউতে থাকা রোগী মরে গেলেও মোটা অঙ্কের অর্থ পরিশোধ করে সে পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে। চিকিৎসা খাতে অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিনিয়ত মৃত্যু ও আক্রান্ত বেড়ে গেছে। আল্লাহর দান অক্সিজেন কিনতে সরকার ১৯ শতাংশ ভ্যাট আদায় করছে।

তিনি বলেন, ঔষধ প্রশাসনে একজন অযোগ্য লোককে দায়িত্ব দিয়ে এ খাতকে ধ্বংস করা হচ্ছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্বল্পমূল্যে আই সি ইনজেকশন দিতে অনুমোদন চাইলো, বিনা কারণে তিন সপ্তাহ আবেদন ফেলে রাখা হয়েছে। যার কোনো উত্তর দিতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজির স্বাক্ষর করার ক্ষমতা নাই, অনুমোদনের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হয়।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে প্রবীণ এই চিকিৎসক বলেন, ভিসা ছাড়া ভারতের ৮ লাখ লোক বাংলাদেশে বসবাস করছে। অথচ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট আবিষ্কারক ডাক্তার বিজন কুমার শীলকে দেশে আসতে দেয়া হচ্ছে না। গত তিন মাস ধরে তার ভিসা চেয়ে আবেদন করলেও তাকে ভিসা দেয়া হচ্ছে না।

করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে ভ্যাকসিন চুক্তি করে এখন তারা দিচ্ছে না। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে ছয় মাসের মধ্যে অক্সফোর্ডের ফর্মুলা দেশে এনে ভ্যাকসিন বানানো সম্ভব। অথচ সেদিকে গুরুত্ব না দিয়ে আইসিইউতে লুটপাটের সুযোগ থাকায় সেদিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্য ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল, নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রবি আমাতউল্লাহ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

প্রকৌশল নিউজ/এমএস