ফাইজারের টিকা : দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন
ফাইজার-বায়োএনটেক উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য চতুর্থ টিকা হিসেবে ফাইজারের এ টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো। আগামী ২ জুন ১ লাখ ৬ হাজার ডোজ ফাইজার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
এর আগে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, রাশিয়া উৎপাদিত স্পুতনিক ও চীনের সিনোফার্মের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুমোদনের আবেদনের পর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নথিপত্র মূল্যায়ণ করে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যান্য বিষয় মূল্যায়ণের জন্য গঠিত কমিটির কাছে পাঠায়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এর অনুমোদন দেওয়া হয়ছে।
যুক্তরাজ্যে গত বছরের ২ ডিসেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রে ১১ ডিসেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফাইজারের করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
দুই ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেক টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। এটিকে -৯০ ডিগ্রি থেকে -৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তবে দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি পাঁচ দিন ও ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভ্যাকসিনটি দুই ঘণ্টা ভালো থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।